চোখ ধাঁধানো বাড়ি, একাধিক ব্যবসা? এবার IT রেড হুগলির পবনের বাড়িতে
এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
পেল্লাই বাড়ি। কিন্তু, সেই বাড়ি তৈরি করতে কোথা থেকে এল টাকা? রাজ্যে যখন একাধিক মামলার তদন্তে তৎপর CBI এবং ED, সেই সময় আয়কর দফতরের আধিকারিকদের নজরে মগড়া পশ্চিম শেখ পাড়ার ঘোষ পরিবার। রাতারাতি ফুলে ফেঁপে ওঠার নেপথ্যে কি কোনও বেটিং চক্র? উঠছে প্রশ্ন।শুক্রবার শেখ পাড়ায় আয়কর হানা। শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ চারটি গাড়ি করে আয়কর আধিকারিকদের দল আসে। সিআরপিএফ-কে সঙ্গে নিয়ে পবন ঘোষের বাড়িতে ঢোকেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। চলে তল্লাশিও। পবন ঘোষ কুন্তিঘাট রেয়ন কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর বাড়িতে আয়কর হানায় অবাক প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুন্তীঘাটে কেশরমরা ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কর্মী ছিলেন পবন। ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর পরিবার। ছেলে কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। মেয়ে ব্যাঙ্গালোর থেকে নার্সিং পাশ করেন এবং বর্তমানে তিনি কাজে যুক্ত। তাঁদের গ্রামের বাড়ি গলসিতে। মগরা এলাকায় বছর ১৫ ধরে এসে থাকছেন তাঁরা। এলাকায় প্রচুর জমি জায়গা রয়েছে তাঁদের। সম্প্রতি একটি বিশাল বাড়িও করেছেন। শুক্রবার রাতে প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর রাত ২ টো ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আয়কর আধিকারিকরা।
তাঁরা বেরিয়ে যাবার সময় দুটি কম্পিউটার নিয়ে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পবনবাবুর ছেলে কুণাল ঘোষকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। যদিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও কথাই বলতে চাননি তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজিন হয় মগরা থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, পবন একাধিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আয়কর আধিকারিকদের হানায় স্থানীয় বাসিন্দারা অবাক। তবে কি কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করছিল তাঁরা? প্রশ্ন স্থানীয়দের। শনিবার সকালে পবনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কেন তাঁর বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হঠাৎ করে হানা দিলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
কিন্তু, তিনি কোনও জবাব দিতে চাননি। এই সময় ডিজিটাল-এর প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য বাড়িতে গেলে তিনি ক্যামেরা দেখেই দরজা বন্ধ করে দেন। তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেননি। সবমিলিয়ে এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশীরা অবশ্য ক্যামেরায় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।