জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একশো দিনের টাকা বন্ধ থেকে লক্ষ্ণীর ভান্ডার বন্ধের হুমকি, ২৫ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া, একাধিক ইস্যুতে বীরভূমের দুবরাজপুরের সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুবারাজপুরে শতাব্দী রায়ের সমর্থনে আয়োজিত সভায় অভিষেক বলেন, ভোটের সময় তৃণমূল নেতাদের এরা অত্যাচার করছে। কারও বাড়িতে সিবিআই,কারও বাড়িতে ইডি, কারও ঘরে এনআইএ, কারও ঘরে ইনকাম ট্যাক্স পাঠাচ্ছে। ধমকে, চমকে যাতে তৃণমূল নেতাদের চুপ করিয়ে রাখা যায় তার প্রক্রিয়া বিজেপি চালাচ্ছে। আরা যাই হোক এদের কাছে কখনই এদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না। মেরুদন্ড বিক্রি করব না।
অভিষেক বলেন, আগামী ১৩ তারিখ যখন ভোটে দেবেন তখন সেই তার তারিখটাও ঐতিহাসিক। ২০১১ সারের ১৩ মে বাংলার মানুষ সিপিএম নাম জগদ্দল পাথরটা সরিয়েছিল। আর এবার ১৩ মে আপনি যখন বোতামটা টিপবেন তখন যেন ভুমিকম্পটা দিল্লিতে হয়। শপথ নিন শতাব্দী রায়কে ২ লাখের ব্যবধানে জেতাব। আর আমি জনসমক্ষে কথা দিয়ে যাচ্ছি যারা বাংলা বিরোধীরে উত্খাতের লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ কেন্দ্র টাকা দিক আর না দিক আপনার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা সরাসরি আপান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আমাদের সরকার পাঠিয়ে দেবে। এটা দিদির গ্যরান্টি। ২০২১ বলেছিলাম আমরা লক্ষীর ভান্ডার দেব বাড়ির একজনকে। মমতা বন্দ্যোপাদ্যায় জেতার পর পরিবারে যদি ৪ জন মহিলা থাকেন তাহলে ৪ জনকেই লক্ষীর ভান্ডার দিয়েছেন। বাংলার ২ কোটি ১২ লাখ মহিলকে আমরা লক্ষীর ভান্ডার দিচ্ছি তার মধ্যে ৯ লাখ বীরভূম জেলায় পাচ্ছে।রাজ্যের ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষকরে চাকরি বাতিল নিয়ে অভিষেক বলেন, যারা বসে চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে তারা আজ বিজেপির প্রার্থী। মানুষ দেখে নিয়েছে। বিজেপির নেতা বলেছিল বোমা ফাটাব। কী বোমা ফাটল? ২৫ হাজার লোকের চাকরি বাতিল। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম কিছু লোক দুর্নীতি করেছে। একশো দিনে ক্ষেত্রের ৫০০ লোক দুর্নীতি করলে ৫০ লাখ মানুষের টাকা আটকে দিয়েছে। একইসঙ্গে ২৫ হাজার লোকদের মধ্যে অধিকাংশই মেধাযুক্ত। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিচ্ছে আর অন্যদিকে বিজেপি চাকরি খাচ্ছে। একদিকে আমরা টাকা দিচ্ছি আর অন্যদিকে মোদীজি টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। আধার ও প্যান কার্ডের লিঙ্ক করার নাম করে মোদীজি টাকা নেয়নি? বিজেপির নেতা বলেছে তারা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেবে। যারা একশো দিনের টাকা আটেক দিয়েছে তারা এবার লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দিতে চাইছে। এর জবাব আপনারা দেবেন না? বাংলার মানুষের টাকা বন্ধ, আর ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিমান কেনা হয়েছে। মানুষকে বলুন। যারা আপনাদের বঞ্চিত করে রেখেছে তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান এরা জানে না, এরা বলছে স্বামী বিবেবকানন্দ নাকি অজ্ঞ বামপন্থী প্রোডাক্ট, বিদ্যাসাগরের মূর্তি এরা ভেঙে ছিল। সেইজন্য এদের আমরা বাংলা বিরোধী বলছি। বাংলা বিরোধীদের বিসর্জনের সুযোগ ১৩ তারিখ আপনারা পাচ্ছেন। বিজেপির সংকল্পপত্রে লেখা রয়েছে, ক্ষমতায় এলে একটাই ভোট হবে। হতে পারে এই ভোটই আপনার শেষ ভোট। এমন ভাবে বোতাম চিপুন যেন পদ্মফুল চোখে সর্ষে ফুলে দেখে। ১৩ মে আপনার দিন। এই ভোট প্রতিবাদের ভোট। বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ভোট।