• সোমবার সুপ্রিম কোর্টে SSC মামলার শুনানির সম্ভাবনা
    এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট একলপ্তে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এবং দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন দ্বারস্থ হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে স্পেশাল লিভ পিটিশন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি সূত্রে খবর, সোমবারই তার শুনানি হতে পারে। এদিকে চাকরিহারা শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্রের খবর।উল্লেখ্য, SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল। গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত তিনি রয়েছেন সংশোধনাগারে। এছাড়াও মডেল তথা অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছিল কোটি কোটি টাকা। অংকটা প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়ে ২০১৬ সালের নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি ও ডি-এর সব নিয়োগ বাতিল করা হয়। পাশাপাশি অনিময় করে যারা চাকরি পান তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

    এই নির্দেশ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। SSC জানিয়েছিল, তারা সর্বোচ্চ আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে চলেছে। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘কেউ চিন্তা করবেন না বা হঠকারী কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। কেউ পাশে থাকুক বা না থাকুক আমি থাকব। সর্বোচ্চ আদালতে যাব।’

    উল্লেখ্য, শনিবার বাম ছাত্র-যুব সংগঠন হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা প্রার্থীদের নিয়ে এসএসসি ভবন অভিযান করে। করুণাময়ী পৌঁছনোর আগে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। আর এর ফলে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সল্টলের চত্বরে। বামেদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন চাকরিহারারা। হাইকোর্টের রায়ে অযোগ্যদের পাশাপাশি অনেক যোগ্যদের চাকরি চলে গিয়েছে বলে দাবি করা হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এদিন মিছিলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

    এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় দফায় দফায় চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের উপর সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয় কিনা বা সর্বোচ্চ আদালত ঠিক কী নির্দেশ দেয়, এখন সমস্ত নজর রয়েছে সেই দিকেই। লোকসভা নির্বাচনের সময় এই রায় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
  • Link to this news (এই সময়)