বাম যুব নেতৃত্বের ডাকে এসএসসি ভবন অভিযানকে কেন্দ্রকে করে ধুন্ধুমার সল্টলেকে। হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা প্রার্থীদের নিয়ে অভিযান করতে যায় বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। করুণাময়ী পৌঁছনোর আগে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। বাধা উপেক্ষা করে এগনোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ও বাম ছাত্র যুব সংগঠনের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। তার জেরে রণক্ষেত্র করুণাময়ী।বাম ছাত্র যুবদের ডাকা ‘করুণাময়ী চলো’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার সল্টলেক চত্বর। তাদের বামেদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সদ্য চাকরিহারারাও। হাইকোর্টের রায়ে অযোগ্যদের পাশাপাশি যোগ্যদেরও চাকরি চলে যাওয়ার প্রতিবাদে তাঁদের এই কর্মসূচি ছিল। এসএসসি অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তাঁদের তরফে। তবে এসএসসি ভবন পৌঁছনোর আগেই তাঁদের তাকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। মুহুর্তে রণক্ষেত্র আকার ধারণ করে এলাকা।
বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এসএসসি ভবনে ডেপুটেশন জমা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। আমাদের একাধিক কর্মীকে আটকে দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের ছাড়া হচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।’
'যে অপরাধ করিনি তার শাস্তি পাব?' চাকরি হারিয়ে মন্তব্য স্বর্ণালী-শাওনির
এদিন মিছিল নিয়ে এসএসসি ভবন অভিযান শুরু করে মীনাক্ষীরা। করুণাময়ী এলাকার আচার্য সদনের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয়। অভিযোগ, ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ মিছিলকে থামিয়ে দেয়। এরপরেই শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা, ধাক্কাধাক্কি। সেখানেই পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। বেশ কয়েক জনকে আটকও করা হয়েছে।
গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেল বাতিল করে। সেখানেই প্রায় ১৬ জানার জনের চাকরি বাতিল করা হয়। এরপরেই যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের মতো আন্দোলন শুরু করে। তবে, এদিনের বামেদের মিছিলেও বেশ কিছু যোগ্য প্রার্থীরা যোগদান করেন। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি ফেরতের দাবি নিয়ে এদিন মিছিলের আয়োজন শুরু করা হয়। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনকি, যোগ্য প্রার্থীদের ওএমআর শিট হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল বলেও এসএসসির তরফে জানানো হয়েছে। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যত এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উপর।