মাঝরাতে পিৎসা-আইসক্রিম ক্রেভিংয়ের দফারফা! নয়া আইন আনছে এই সরকার
এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
মাঝরাতে এটা ওটা অর্ডার দেন? হুজুক জাগে আইসক্রিম-পিৎজা খাওয়ার? অর্ডারও দেন নিশ্চয়? এই খবরে কিন্তু চিন্তার ভাঁজ পড়তে পারে কপালে। আইসক্রিম-পিৎজা খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ পাওয়া দুর্লভ। বিভিন্ন দেশে আইসক্রিম খাওয়া নিয়ে রয়েছে আলাদা সংস্কৃতি। ছোট থেকে বয়স্ক পিৎজা- আইসক্রিমের লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। তাই দিন হোক কিংবা রাত, মন চাইলে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন ঠান্ডা আইসক্রিম খেতে।
ইতালির মিলান শহরে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম ও পিৎজা খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। শহরের সড়কে যাতে রাতে হইচই না হয় ও বাসিন্দারা যাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারেন সেই জন্য এই আইন করা হতে চলেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাঝরাতে আইসক্রিম-পিৎজা খাওয়া এখন প্রায় ইতালির সংস্কৃতির অংশ হয়ে গিয়েছে। অনেকই গভীর রাতে আইসক্রিম খান। প্রস্তাবিত নতুন আইনের অধীনে এভাবে গভীর রাতে আইসক্রিম-পিৎজা খাওয়াকে গণ্য় করা হবে অপরাধ হিসেবে। মিলানের ১২টি এলাকায় এই আইনটি কার্যকর হবে।
এই আইনের অধীনে মাঝরাতে পর পিৎজা, পানীয়সহ সব ধরনের খাবার বাড়িতে সরবরাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। সপ্তাহের কর্মদিবসে রাত ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ও অন্য়ান্য় ছুটির দিনে রাত ১টা ৩০ মিনিট থেকে প্রয়োগ শুরু হবে আইনটির। রাতের বেলা অনেকেই খাবার অর্ডার করার কারণে হইচই হয়। যানবাহনের আওয়াজ হয়। এক কথায় রাতের নিশ্চুপ পরিবেশ বজায় থাকে না। তই মধ্য়রাতের পর সড়ককে কোলাহলমুক্ত রাখতে খোলা আকাশের নীচে বসানো খাবার টেবিলেও প্রয়োগ করা হবে এই আইন।
তবে নাগরিকরা যদি চান তবে মে মাসের শুরুর দিকে প্রস্তাবিত আইনের কোনও ধারার পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। মিলানের ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্র্যানেলি জানিয়েছেন, সামাজিকতা ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও পারিপার্শ্বিক প্রশান্তির কথা মাথার রেখে এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই আইন 'মধ্য মে' থেকে কার্যকর এবং নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
তবে এই প্রথমবার যে মধ্য়রাতে আইসক্রিম-পিৎজা সহ অন্যান্য খাবার খাওয়া বন্ধে মিলানের স্থানীয় সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে তাই নয়। এর আগে ২০১৩ সালে তৎকালীন মেয়র জুইলিয়ানো পিসাপিয়া মধ্য়রাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তুমুল সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হন তিনি।