Bird Flu In Milk : গোরুর দুধ খেলেই বিপদ? মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নিয়ে মুখ খুলল হু
এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
নতুন করে বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। কোভিডের থেকে ভয়ংকর মহামারী হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে এই ভাইরাস নিয়ে কিছুটা হলেও ভয় কাটাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সম্প্রতি সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস H5N1 মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে পশু-পাখি থেকে মানুষের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেশগুলিকে সতর্ক করেছে WHO।বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীদের থেকে মানুষের মধ্যে যাতে কোনওভাবেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের। পাশাপাশি বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত পশুদের দুধ সরাসরি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রসেসড দুধ কেনার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'দুধে বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এই কাঁচা দুধ খেলে মানুষের মধ্যে সেই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই দিকটি আমরা খতিয়ে দেখছি।'
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে একটি পোলট্রিতে বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস পাওয়া যায় অধিকাংশ মুরগির শরীরে। পাশাপাশি ওই এলাকারই একটি গোয়ালে একাধিক গোরুর শরীরে এই জার্ম পাওয়া যায়। সঙ্গে তাধের দুধ পরীক্ষা করেও চক্ষু চড়কগাছ হয় বিজ্ঞানীদের। গোরুর দুধে মেলে H5N1 ভাইরাস। এ ছাড়াও টেক্সাস, কানসাস, মিশিগান, ওহিহো, ইদাহো, নিউ মেক্সিকো, নর্থ ক্যারোলিনা এবং সাউথ ডাকোটাতেও একইভাবে গোয়াল এবং পোলট্রিতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাঁচটি বাণিজ্যিক দুধের প্যাকেটের মধ্যে গড়ে একটিতে বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ফলে জো বাইডেন সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, এমনটা ভেবে নিশ্চিন্ত থাকার কোনও কারণ নেই যে দুধে পাওয়া বার্ড ফ্লু মানুষের শরীরে প্রবেশ করবে না। ফলে প্রসেসড দুধ কিনে খাওয়াই মঙ্গল। আমেরিকা থেকে গোরু রফতারি করার আগে প্রত্যেকের বার্ড ফ্লু টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসা বাধ্যতামূলক বলেও জানিয়েছে মার্কন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রক।
মুরগির মাংসে বার্ড ফ্লু নিয়ে আগেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল, এবার নতুন করে গোরুর দুধ নিয়েও তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে গোরুর দুধ খাওয়ানো নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।