আঁটোসাঁটো পোশাক পরে নেচে জনপ্রিয়! ইরানে টিকটক তারকাকে গুলি করে খুন
এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৪
ইরানের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ওম ফাহাদকে গুলিকে হত্য়া। বাগদাদে বাড়ির বাইরে গুলি করে হত্য়া করা হয় ওমকে।
শুক্রবার রাজধানীর পূর্ব জায়েন এলাকায় হামলার ঘটনা। ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে 'সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পরিচিত একজন মহিলা 'অজানা আততায়ীর' দ্বারা নিহত হয়েছেন। কী ভাবে মৃত্যু হল মহিলার তা জনতে তদন্তের স্বার্থে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।ফাহাদের আসল নাম গুফরান সাওয়াদি। গাড়িতে থাকা অবস্থায় বাইকে চেপে আসা এক আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তিনি। ইরানের নিরাপত্তা সূত্র AFP নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে, হামলাকারী খাবার সরবরাহ করার ভান করেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়। এদিকে মার্কিন মালিকানাধীন আল হুরা বার্তা সংস্থা জানিয়েছে হামলায় আর এক মহিলা আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাওয়াদি বাইরে যাওয়ার জন্য তার গাড়িতে চড়ে বসেছিলেন। এই সময় খাবার ডেলিভারির বেশধারী মোটরবাইকে আসা এক ব্যক্তি গাড়ির ভেতরে বসা সাওয়াদিকে গুলি করে। হামলায় সাওয়াদির সঙ্গে থাকা আরেক নারী আহত হয়েছেন।
টিকটকে জনপ্রিয় তারকা ছিলেন ফাহাদ। বডি-হাগিং ড্রেস পরে পপ মিউজিকের তালে তাঁর নাচের ভিডিয়ো নজর কেড়েছিল নেটাগরিকদের। জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন। টিকটকে তাঁর কয়েক হাজার ফলোয়ার। ওম ফাহাদ খ্যাত সাওয়াদির ভিডিয়োর হাজার হাজার ভক্ত থাকলেও অনেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ইরাকের এক আদালত তাঁকে 'শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুণ্ণ করে এমন অশালীন ভিডিও বানানো'-র দায়ে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে 'নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য' লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলার জন্য ইরান সরকার সারাদেশে গত বছর অভিযান শুরু করে। এরপর গ্রেফতারও করা হয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকেও। এছাড়াও টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিই ওম ফাহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।
ওম ফাহাদের সঙ্গে আরেক টিকটক তারকা ডালিয়া নাইমের মধ্যে সম্প্রতি স্নায়ু দ্বন্দ্ব বেড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ডালিয়া প্লাস্টিক সার্জারির কারণে 'ইরাকি বার্বি' নামে পরিচিত। সম্প্রতি ইরাকের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফাহাদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে ফাঁস করার হুমকি দিয়েছিলেন।