ভোটার আগে এবার এক বিজেপি নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ শনিবার সকালে এক বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠের প্রচন্ড শব্দে কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই বাড়িতে বোমা বা বিস্ফোরক কিছু ছিল কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনায় জোর সমালোচনা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।বসিরহাটের হাসনাবাদের কালিবাড়ি দক্ষিণ শিমুলিয়া এলাকায়। এদিন দুপুরে দক্ষিণ শিমুলিয়া এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় নিমাই দাস নাম এক বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে এই বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। ঘরে কোনও বোমা মজুত করে রাখা হল কিনা, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি পুলিশের তরফে।
তবে, এই ঘটনায় বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বসিরহাটের অন্তর্ভুক্ত হিঙ্গলগঞ্জের হাসনাবাদ পঞ্চায়েতে বিজেপির নেতা নিমাই দাসের ভাইয়ের বাড়িতে মজুত রাখা বোমার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত বাড়ির বাসিন্দারা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এই প্রবল গরমে মজুত করে রাখা অত বোমায় বিস্ফোরণের ফলেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিস সত্যাসত্য দেখুক।
সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ আরও জানান, এখানে এক বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। তাঁকে বিজেপির অনেক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা যায়। তাঁর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হল, সেখানে NIA যাবে না? সেখানে NSG যাবে না? কুণাল বলেন, ‘কালকে দেখলাম গুটি গুটি পায় রোবট গেল, এখানে সেসব যাবে না কেন?’ তৃণমূলের দাবি, যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে সেটা বিজেপির পঞ্চায়েত এলাকা। বিস্ফোরণের ঘটনার পর বাড়িটিকে বিজেপি কর্মীরা ঘিরে রেখেছিল। এমনকি, পুলিশ আসার আগে আরও কিছু অস্ত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও তৃণমূল দাবি করছে।
বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা হচ্ছে। তবে ভোটের মুখে গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।