• ‘বরকত’দার জন্য দুঃখ লাগে’, মালদায় কংগ্রেসকে বিশেষ বার্তা ফিরহাদের
    এই সময় | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • মালদা জেলা বরাবরই শক্তঘাঁটি ছিল কংগ্রেসের। বরকত গণিখান চৌধুরীর আমলে এই জেলায় দাঁত ফোটাতে পারতো না বিরোধীরা। গত লোকসভা নির্বাচনে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রটি ধরে রাখতে পারলেও মালদা উত্তর কেন্দ্রটি দখল করে নেয় বিজেপি। এবার মালদায় প্রচারে গিয়ে বরকত গণিখান চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।শানিবার মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে ভোটপ্রচারে আসেন ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা রাজ্য মহিলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়দর্শনী হাকিম।। সেখানেই বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও একহাত নেন ফিরহাদ। মনে করান, বরকত গণিখান চৌধুরীর কথা।

    রাজ্যের পুর মন্ত্রী ববি হাকিম রতুয়ার সম্বলপুর জনসভা থেকে বলেন, ‘আমরা প্রয়াত প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা এবিএ গনি খান চৌধুরীর কাছ থেকে শিখেছিলাম সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করা। গনি খান চৌধুরী বলতেন সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হোক। আজকে বরকত’দা জীবিত থাকাকালীন তার স্বপ্ন দেখতে পেলেন না তবে তার স্বপ্নকে পূরণ করেছে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এরপরেই কংগ্রেসকে একহাত নেন ফিরহাদ। তাঁর কটাক্ষ, ‘দুঃখ লাগে যখন দেখি এই বরকত দার কংগ্রেস এখন সিপিএমের সাথে হাত মিলিয়েছেl কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী তিনি এবং মোঃ সেলিম সিপিএম নেতা একসঙ্গে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে। আজকে এটা দেখে বরকত সাহেবের আত্মা কাঁদছে।’

    পিএম নরেন্দ্র মোদী : 'পরের জন্মে বাংলার কোনও মায়ের কোলে জন্মাব', মালদায় জানালেন মোদী

    তবে কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিকে সমান তালে আক্রমণ করেন পুরমন্ত্রী। ফিরহাদ বলেন, ‘মোদী-অমিত শা’রা এসে বাংলায় ভ্রষ্টাচার হচ্ছে বলে কটাক্ষ করছেন। অথচ, আমাদের দলের যারা ভ্রষ্টাচারে জড়িত তাঁদের কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। কমবেশি সকলেই জেলে রয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ। এখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস ও ধর্মাচরণ করতে পারবেন। কিন্তু বিজেপি ধর্মের নামে দেশে ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।’

    উল্লেখ্য, এবার মালদা উত্তর কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন গতবারের জয়ী প্রার্থী খগেন মুর্মু। গতবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম নূরকে লাখেরও বেশি ভোটে হারান বিজেপি প্রার্থী। এবার দলের তরফে মৌসমকে টিকিট দেওয়া হয়নি। প্রাক্তন আইপিসের উপর ভরসা রেখেছে শাসক দল। বিজেপির সঙ্গে আসল লড়াই হলেও এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের একটা প্রভাব রয়েছেই। সেই কারণে, লড়াই এবার জোরদার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)