‘সিপিএমের ঝান্ডার থেকে বিরিয়ানির হাঁড়ির লাল কাপড় বেশি’ সৃজনকে জবাব সায়নীর
এই সময় | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
একদিকে, সৃজন ভট্টাচার্য অন্যদিকে সায়নী ঘোষ। দুই তরুণ প্রজন্মের লড়াইয়ে এবার যাদবপুর। জমজমাট। যাদবপুর এবার লালে লাল হবেই,আশাপ্রকাশ সিপিএম প্রার্থীর। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের কটাক্ষ লাল ঝাণ্ডার থেকে বিরিয়ানির হাঁড়িতে জড়ানো লাল কাপড়ের সংখ্যা বেশি। দুই প্রার্থীর বাদানুবাদে তপ্ত গরমে বাড়ছে যাদবপুরের রাজনৈতিক পারদও।যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সায়নী ঘোষ শনিবার সকালে বারুইপুর দুটি বাজারে জনসংযোগ করতে আসেন। অন্যদিকে, এদিন সকালে নাঙ্গলবেড়িয়া এলাকায় প্রচার সারেন সৃজন ভট্টাচার্য। সেখানেই তিনি বলেন, ‘যাদবপুরের মানুষকে তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে লাল ঝান্ডাই একমাত্র পথ। সেই কারণে আমরা একত্রিত হয়ে তৃণমূলকে হারাতে চাইছি।’ সৃজন জানান, তৃণমূল যদি ভালো কাজ করেই থাকে, তাহলে পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ করতে হয় কেন? তবে, সৃজনেই আশা এবার ভালো ভোট হবে। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে। পারবেন
অন্যদিকে, সৃজনের এই বক্তব্যকে চরম কটাক্ষ করেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সিপিএম ৩৫ বছরে যা করেছে তাতে লাল ঝান্ডার থেকে বিরিয়ানির হাঁড়িতে লাল শালুর সংখ্যা বেশি। শনিবার সায়নী ঘোষ বারুইপুর কাছারী বাজার ,বারুইপুর পুরাতন বাজারে জনসংযোগে আসেন। কাছারী বাজার থেকে তেলাপিয়া, চাড়া পোনা, কাকড়া, কচি পাটা, মাগুর ইত্যাদি মাছও কেনেন তিনি।
এর মাঝেই তাঁকে সৃজন ভট্টাচার্য যাদবপুর লালে লাল হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব দেন, ৩৪ বছরের সিপিএম এমন কাজ করেছে, লাল কাপড়টা এখন বিরিয়ানি হাড়িতে দেখা যায় বেশি। এখন বাজারে এসেছি আনন্দ করতে এসেছি লাল হবে না নীল হবে সেসব পরে দেখা যাবে।
একসময়ের লাল গড় ছিল এই যাদবপুর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী লড়তেন এই কেন্দ্র থেকে। এবার সিপিএম এক তরুণকে এই কেন্দ্র পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছেন। নাম ঘোষণার পর থেকেই যাদবপুরের কোণায় কোণায় গিয়ে জনসংযোগ করছেন তিনি। অন্যদিকে, গত তিনবার এই আসন থেকে জিতে আসা কেন্দ্র তৃণমূলের। এবার এই কেন্দ্র থেকে যুব তৃণমূলের মুখ সায়নী ঘোষকেই বাজি করেছে রাজ্যের শাসক দল। বিজেপির তরফে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে, শেষ হাসি হাসবে কে? সেটা সময় বলবে।