এলেন, দেখলেন জয় করলেন! আসলে তিনি যেখানেই যান, সেখানেই জনসমুদ্র তৈরি হয়। কিছুটা রাজনৈতিক কারণে, কিছুটা বাংলার সুপারস্টার হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তা। বাংলার আরেক সুপারস্টার নায়িকার হয়ে এবার প্রচারে ঝড় তুললেন দেব। কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় দেখে আপ্লুত হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।শনিবার বিকেলে হুগলির পান্ডুয়া কলবাজার থেকে শুরু হয় রোড-শো। শুরু থেকেই ভিড়ের চাপে খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে বর্ণাঢ্য মিছিল। গাড়ির মাথায় দাঁড়িয়ে হাত দেখিয়ে সামনের জনগণকে বারবার এগনোর জন্য আবেদন করতে দেখা গিয়েছে স্বয়ং দেবকে। মিছিল জিটি রোড ধরে মুকুল সিনেমাতলা, কালনা মোড়, তেলিপাড়া, হাসপাতাল রোড হয়ে কাকলি সিনেমা পর্যন্ত যায়। প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা ধরে চলে ওই রোড শো।
গোটা রোড শোতে মানুষের ভিড় ভোটের আগে হাসি আরও চওড়া করেছে রাজনীতিতে নবাগতা তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সিনেমার জগতে দেব অনেক নবীন হলেও রাজনীতিতে তিনি অভিজ্ঞ। কী পরামর্শ দিলেন অভিজ্ঞ ভাই? রচনা জানালেন, ‘দেব আমাকে একটাই টিপস দিয়েছে, একটাই কথা বলেছে - যে তুমি জয়ী হও।’ দেব-এর প্রচারের জন্য কি বাড়তি কিছুটা সুবিধা পাবেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী? রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দ্বিধায় স্বীকার করলেন সে কথা।
গোলাপ দিয়ে কনে আশির্বাদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মানুষের ভিড় দেখে আপ্লুত হন দেব নিজেও। দেব বলেন, ‘এই যে এত মানুষের উল্লাস, এটা দেখেই বলা যাচ্ছে এবার মানুষের রায়টা কোনদিকে যাবে? এত মানুষের ভালোবাসা ভোটের ফল বেরোলেই সেটা দেখতে পাওয়া যাবে।’দেব জানান, যতদূর চোখ যাচ্ছে, শুধু মানুষের মাথা দেখা যাচ্ছে, এর থেকেই বোঝা যায় আমাদের প্রতি, আমাদের দলের প্রতি এবং এখানকার প্রার্থীর প্রতি মানুষের কেমন সমর্থন রয়েছে।
নিজে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নিজের কেন্দ্রে প্রচার করেও তারকা প্রার্থী হিসবে একাধিক প্রার্থীর সমর্থনে বিভিন্ন জায়গায় সভা করছেন দেব। এবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কর্মজীবনে তাঁরই সতীর্থ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রোড শো করলেন তিনি। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লড়ছেন গতবারের জয়ী প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এদিনের রোড শোতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা,পান্ডুয়ার বিধায়ক রত্না দে নাগ,ধনিয়াখালীর বিধায়ক অসীমা পাত্র ও জেলা তৃনমূলের নেতৃত্ব।nদেবের রোড শোকে ঘিরে একদিকে যেমন পুলিশি নিরাপত্তা, অন্য দিকে বাড়তি নজরদারিও ছিল পুলিশের।