আসানসোলের পর বাংলার একমাত্র আসনে প্রার্থী বদল করেছে গেরুয়া শিবির। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করা হলেও মনোনয়ন বাতিল হয়। যে কারণে, বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচাৰ্য মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। এতদিন ধরে একজন প্রার্থী প্রচার সারলেও নতুন প্রার্থী আসায় কি এই আসন যেটা সম্ভব? ‘কলাগাছ’ দাঁড় করানো হলেও, এখানেও বিজেপি জিতবে, আত্মবিশ্বাসী উত্তর দেবতনু ভট্টাচার্যর।কিন্তু, কেন এতটা আশাবাদী গেরুয়া শিবির? আগামী ১৩ মে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। ১৫ দিনের থেকে একটু বেশি প্রচারের সময় পাবেন নতুন প্রার্থী? তাহলে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে জেতার সম্ভাবনা কতটা? নতুন প্রার্থী দেবতনু জানালেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি সংগঠন নির্ভর দল। তাই একটা কলাগাছ দাঁড় করালেও বিজেপির সমর্থকরা বিজেপিকেই ভোট দেবেন।’ বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, এই কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠন মজবুত করার কাজ করেছে স্থানীয় নেতৃত্বরা। তার উপর ভিত্তি করেই এগোবে দল।
দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন দেবতনু ভট্টাচাৰ্য। যিনি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সংগঠন গোছানোর দায়িত্বে রয়েছেন । তিনিই আজ প্রচার শুরু করেছেন মহম্মদ বাজার থেকে। দেবতনু জানান, মানুষের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা আছে। তাঁদের শরীরী ভাষা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্র থেকে টানা তিনবার জিতে এসেছেন শতাব্দী রায়। ২০০৯ সালে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে প্রথমবার দাঁড়িয়েছিলেন শতাব্দী রায়। সেই সময় পুরোদস্তুর তারকা প্রার্থী হলেও, বর্তমানে পরিপক্ক রাজনীতিক হয়ে উঠছেন শতাব্দী রায়। সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্বিতে তাঁকেও মাঠে নেমে কাজ করতে দেখা গিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ভোটের সময়ুটুকু ছাড়া শতাব্দী রায়কে এখানকার মানুষ সেভাবে কাছে পান না। তাছাড়া শেষ তিনবার মানুষ ওঁকে জিতিয়ে এসেছেন। সেই কারণে, এবার বদলের ইচ্ছা রয়েছে মানুষের বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে এই কেন্দ্র থেকে শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। পরেরবার অর্থাৎ ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে দুধ কুমার মণ্ডলকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। গতবার প্রায় এক লাখের কাছাকাছি ভোটে বিজেপিকে হারায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। এমনকি, গত বিধানসভা নির্বাচনে দুবরাজপুর বাদ দিয়ে এই লোকসভার অন্তর্গত ছয়টি আসনেই জিতে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণে, তৃণমূলের সামনে লড়াইটা অনেকটাই কঠিন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে।