অর্নবাংশু নিয়োগী ও রাজীর চক্রবর্তী: কলকাতা হাইকোর্টের রায় চাকরি গিয়েছে রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষকের। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলার শুনানির দিনক্ষণ ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। জানা যাচ্ছে ওই মামলার শুনানি হতে পারে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে।
উল্লেখ্য গত সোমবার শিক্ষাক নিয়োগের একটি মামলায় হইচই পড়ে যায় রাজ্যে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের গোট প্যানেলটাই বাতিল করে দেন। এক ফলে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের। এখন শিক্ষাকদের পাশাপাশি বিপাকে পড়ে গিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ওই বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে স্কুল চালানোই দুস্কর হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষে। ফলে চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশাপাশি আদালতে গিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছেন মূল মামলাকারীরাও।
শনিবার ওই মামলার শুনানির দিনক্ষণ জানাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রে খবর ওই মামলার শুনানি হতে পারে আগামী ২৯ এপ্রিল অর্থাত্ সোমবার। সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার হবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পাদরিওয়াল ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তার রায়ে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে। ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক। পাশাপাশি ওইসব শিক্ষকদের তাদের এতদিনের বেতন ১২ শতাংশ সুদ-সহ ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারের যুক্তি হল ৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিবিআইয়ের আপত্তি ছিল। তাহলে গোটা প্যানেল বাতিল হয় কীভাবে।