অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে আবেগে ভাসল নবগ্রাম। জনতার সেই আবেগকে প্রশ্রয়ও দিলেন মিঠুন। বহু তরুণ-তরুণীকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে ছবি তুললেন, প্রণামও নিলেন। আর প্রত্যেকের কাছেই আবেদন জানালেন বিজেপির পদ্মফুল চিহ্নে ভোটটা দিতে।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ জঙ্গিপুর ফুড পার্ক হেলিপ্যাডে চপারে নামেন মিঠুন। সেখান থেকে গাড়িতে চলে যান সোজা পলসন্ডায় পাপ্পুর ধাবায়। সেখানে সামান্য খাওয়া দাওয়া সেরে ঘরে অল্প বিশ্রাম নেন। সেখান থেকে আসেন নবগ্রামের চানক মাঠে। বিজেপির সভায় সচরাচর যেমন ভিড় হয়, তার চেয়ে এ দিন ভিড় ছিল যথেষ্ট বেশি। মিঠুনও ছিলেন বেশ খোশ মেজাজে। ফলে এ দিন জনতা যে যা আবদার করেছেন তেমনই শুনিয়েছেন ফিল্মি ডায়লগ। পোজ দিয়েছেন ছবির।
তবে ফিল্মি ডায়লগে অনেকটাই কথা বদলে উপস্থাপনা করেছেন এদিন তিনি। মিঠুন বলেন, “এ রাজ্যে সামান্য ফিল্মি ডায়লগ বললেও মামলা করে দেওয়া হয় এই বলে যে তা থেকে নাকি অশান্তি ছড়াবে। তাই সব কথা আমি বলব না।”
এদিন মিঠুন বক্তব্য রাখেন মিনিট পাঁচেক। বলেন, “আমি বক্তৃতা দিই না। শুধু দুটো কথা বলব। পশ্চিমবঙ্গে এখন একটা পরিবর্তন দরকার। তা না হলে পশ্চিমবঙ্গ কোথায় চলে যাবে আপনারাও বুঝতে পারবেন না, আমরাও বুঝতে পারব না। এখানে শুধু নেগেটিভ, নেগেটিভ আর নেগেটিভ। না, না, না। প্রচার করা হচ্ছে সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। কিন্তু এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। যাঁদের নাগরিকত্ব নেই তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আইন।যদি আমার কথা মিথ্যে হয়, আপনারা যত মানুষ এই মাঠে আছেন সকলের থুতু চাটব আমি। ভুল প্রচারে ফাঁসবেন না। বিজেপি মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়।”
মিঠুন বলেন, “আমি কোনও দলের নাম নিচ্ছি না। কিন্তু এখানে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি দল দাঁড়িয়েছে সেই দল দুর্নীতিগ্রস্ত। কয়লা চুরি, গরুচুরি, বালি চুরি, সন্দেশখালিতে মেয়েদের সঙ্গে অন্যায় ব্যবহার করেছে। তারা এক জনকে প্রার্থী করেছে। সুন্দর বাংলা গড়তে গেলে তাঁকে হারাতে হবে। বিজেপির কেউ বালি, কয়লা, গরু চুরি করেনি। তাই বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতাতে হবে। এটাই মোদীর গ্যারান্টি।”
কিন্তু তৃণমূলের বক্তব্য, মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে অনেক মানুষ আসতেই পারেন, কারণ তিনি বড় স্টার। কিন্তু ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন পড়বে না। তাঁরা বলেন, মিঠুনকে দেখতে আসাটা বিনোদন। ভোট হয় রাজনীতির অঙ্ক কষে।