অভিনব পদ্ধতিতে এটিএম কার্ড পরিবর্তন করে দিঘায় যুবকের টাকা হাতিয়ে নিল দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে নিউ দিঘার ক্ষণিকা মার্কেটের জানা গেস্ট হাউসের সামনের এটিএম থেকে। পরে এই যুবক দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ঠিক কী জানা গিয়েছে?
সূত্রের খবর, দিঘা থানা অন্তর্গত জাতি মাটি গ্রামের বাসিন্দা নয়ন মাইতি বন্ধন ব্যাংকের এটিএম নিয়ে নিউ দিঘার ক্ষণিকা মার্কেটের এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই যুবক বন্ধন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ডটি পাঞ্চ করতে থাকেন। সেই সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি তাঁকে অনুসরণ করেন। পরবর্তীকালে ওই এটিএম থেকে টাকা না ওঠায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি নয়নকে বলেন পুনরায় কার্ডটি পাঞ্চ করার জন্য। অপরিচিত ব্যক্তিটি তার থেকে এটিএম কার্ডটি নিয়ে টাকা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সময়ই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নয়ন। পরবর্তীকালে পুনরায় কার্ডটি পাঞ্চ করতে গেলে তার থেকেও টাকা ওঠেনি।
এর মধ্যেই হাত বদল করে কার্ডটি বদল করে নেন ওই দুষ্কৃতী। নয়ন মাইতির হাতে ধরিয়ে দিয়ে যায় একই রকম দেখতে বন্ধন ব্যাঙ্কের অপর একটি কার্ড। আর এই কার্ডটি যে বদল হয়ে গিয়েছে তা বিন্দুমাত্র বুঝতে পারেননি নয়নবাবু। কিছুক্ষণ পরে তাঁর এটি এম থেকে টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ আসতে থাকে ফোনে।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি দিঘা থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রের খবর, এই পদ্ধতিতে শুধু একবার নয়, বেশ কয়েকবার প্রতারণা হয়েছে। তবে এভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় কিছুটা অবাক হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মানুষজন। তাঁরা চাইছেন অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ যেন বন্ধ হয়। না হলে দিঘার মতো জায়গায় মানুষরকে সমস্যায় পড়তে হবে। সেখানে প্রতিদিন আসেন বহু মানুষ। আর এই অজানা মানুষজন প্রতারণার শিকার হলে তাঁদের বিশ্বাস উঠতে পারে, আশঙ্কা করা হচ্ছে এমনটাই।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘পর্যটনের উপর আমাদের রুটি রুজি নির্ভর করে। আর সেখানে কোনও ক্ষতি হতে অবশ্যই গোটা বাজারের ব্যবসায়ীদের উপর প্রভাব পড়বে তার। অবিলম্বে দোষীকে খুঁজে বার করা হোক।’ এদিকে এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত এবং তার প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে তদন্তও।