তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাগুইআটি এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে শনিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাগুইআটি অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকা। দফায় দফায় সংঘর্ষ ইট বৃষ্টি। এই ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তখনকার মত পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আবারও এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এরপরেই সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা নামে এক ব্যক্তি ইটের আঘাতে আহত হন। তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে রড লাঠি ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
রক্তাক্ত অবস্থায় সঞ্জীব দাসকে স্থানীয়রা আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সঞ্জীব দাসের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগুইআটি থানার পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিত আরও জটিল হলে পুলিশকে র্যাফ নামতে হয়। এরপরেই পুলিশি আশ্বাসে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। ঘটনাস্থলে এখনও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ পিকেট।
ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠে আসছে। পরিবারের অভিযোগ, রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এমনকী গভীর রাতে তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তীকে ফোন করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনায় দেবরাজ চক্রবর্তীর হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ নিহতের পরিবারে সদস্যদের। যদিও দেবরাজ চক্রবর্তীর পালটা জানান, নিহতের পরিবারের সঙ্গে তাঁর কয়েকবার কথা হয়েছে। রাতে তাঁর ফোন সাইলেন্ট মোডে ছিল বলে, ফোন ধরতে পারেননি তিনি। যদিও পুলিশের তরফে বলা হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয়েছে।
এই ঘটনায় ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'আইন আইনের পথে চলবে, দোষীদের রেয়াত করা হবে না, এই ধরনের ঘটনা দল সমর্থন করে না।' তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি তিনি। অরূপ বলেন, 'তৃণমূলে একটাই গোষ্ঠী, যার প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কোনও গোষ্ঠী নেই।' তিনি আরও বলেন, 'বাগুইআটি, জ্যাংড়া, হাতিয়ারা এলাকায় বিজেপি মাথাচারা দিয়েছে, এই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে, কেউ এটা করিয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখুক পুলিশ।'