এবার বড়সড় বিপদের মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা। শক্তিশালী টর্নেডোয় লন্ডভন্ড আমেরিকার নেব্রাস্তা। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। সম্প্রতি সামনে এসেছে টর্নেডোর একটি ভিডিয়ো। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে আকাশ ঢেকে ঘন কালো মেঘে। তার মধ্যে ঘুরাপক খাচ্ছে দানবাকৃতির টর্নেডো। টর্নেডোর মাথা আকাশ ছুঁয়েছে। ভিডিয়োটে দেখা যাচ্ছে দাপট দেখাচ্ছে সেই টর্নেডো। এতটাই শক্তিশালী সেই টর্নেডো যে সেটির তাণ্ডবলীলায় রাস্তার উপর উলটে পড়ে রয়েছে একটি ট্রাক। এক গাড়ির চালক ছুটে গিয়ে উদ্ধার করেন ট্রাক চালককে।
টর্নেডোর দাপটে লিঙ্কনে উড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ির ছাদ ভেঙে আহত হয়েছেন ৭০ জন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। একটিই নয়, নেব্রাস্কায় একাধিক টর্নেডো আছড়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। নেব্রাস্কায় ওমাহা সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও এলকহর্নে নির্মীয়মান বেশ কয়েকটি বাড়ি ও ছোট ছোট কয়েকটি বাড়ি টর্নেডোর দাপটে মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তবে সেখানকার বাসিন্দাদের আগে থেকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
দেখুন ভিডিয়ো
অন্যদিকে, বড়সড় বিপদের মুখে চিনও। দেশে আচমকা আঘাত হানা টর্নেডোর জেরে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। সেইসঙ্গে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, চিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংঝুতে টর্নেডোর দাপটে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আরও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। যদিও আহত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান। জানা গিয়েছে, ঝড়ের বেগ সবচেয়ে বেশি ছিল সেকেন্ডে ২০.৬ মিটার। উদ্ধারকার্য দ্রুত শুরু হয়। তবে স্থানীয় সময় রাত দশটার পর উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে খবর। আমেরিকার মতো ঘন ঘন না দেখা দিলেও চিনে টর্নেডোর মতো ঝড় তা খুব বিরল নয়। ২০১৫ সালের একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে দাবি করা হয় প্রত্যেক বছর কমবেশি ১০০টি টর্নেডো হয় চিনে। ১৯৬১ সাল থেকে ধরলে পরের ৫০ বছরে ই ধরনের বিপর্যয়ে ১৭৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত কয়েক দিনে ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ চিনে। একটানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে সেই সঙ্গেই জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ফলে অনেককেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অতিবৃষ্টির কারণে মৃত্য়ু হয়েছে ৪ জনের। আবহাওয়া দফতর এমাসের শেষপর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।