• ভোট না দিলেই কাটবে বেতন, বাজেয়াপ্ত হবে পাসপোর্ট! এই দেশে রয়েছে এমন কড়া শাস্তি
    এই সময় | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ভোট একটি অধিকারয ভারতের সংবিধান ভারতেরপ্রত্যেক নাগরিককে ভোটাধিকার দিয়েছে। ভোট দেওয়ার মৌলিক অধিকারকে কেউই কেড়ে নিতে পারে না। কিন্তু নাগরিক নিজের ইচ্ছায় ভোটের অধিকার প্রয়োগ নাো করতে পারেন। এতে নাগরিককে কোনও রকম দণ্ড দেওয়ার বিষয় অন্তত ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশে নেই।তবে পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করলে নাগরিকদের দণ্ডিত করার আধিকারআছে রাষ্ট্রের। উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে এমন ‘কম্পালসরি ভোটের’ বিধান অথবা নিদান নেই। ভোট বয়কটের অধিকার যেমন ভারতে আছে, তেমনই অনেক দেশ আছে যেখানে ভোট না দিয়ে অর্থদণ্ডও হয়।

    সারা বিশ্বেরমোট ৩৩ টি দেশ আছে যেখানে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। তারমদ্যে ১৯ টি এমন দেশ আছে যেখানে ভোট না দিলে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা আছে।

    সিঙ্গাপুর-জানলে অবাক হবেন যে সিঙ্গাপুরে কোনও ব্যক্তি ভোট না দিলে তাঁর থেকে সমস্ত ভোটাধিকার কেড় নেওয়া হয়।

    ব্রাজিল-ব্রাজিলে কোনও ব্যক্তি ভোট না দিলে তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া তাঁর অনেক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়। এখানে ১৮ থেকে ৭০ বছরের নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা বাধ্যতামূলক। ১৯৩২ সালের সংবিধান অনুসারে ব্রাজিলে ভোট দেওয়া শুধু একটি অধিকার নয়, বরং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভোট না দিলে এই দেশে নূন্যতম বেতনের ৩-১০ শতাংশের মধ্যে জরিমানা করার আইন রয়েছে। এছাড়া পাসপোর্ট বা আইডি পাওয়া, সরকারি চাকরি, সরকারি নিলামে অংশগ্রহণের সুযোগ হারানো ও সরকারি ঋণ পাওয়াও নিষিদ্ধ করার মতো শাস্তি রয়েছে।

    বলিভিয়া-এদেশে কোনও নাগরিক ভোট না দিলে তাঁর তিন মাসের বেতন ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া কেড়ে নেওয়া হয় বেশ কিছু অধিকার।

    আর্জেন্টিনা-এখানে ১৭ থেকে ৭০ বছরের নারগিককে অবশ্যই ভোট দিতে হয়। আর্জেন্টিনায় এই আইন চালু হয় ১৯১২ সাল থেকে। কোন নাগরিক বোট না দিলে তার জরিমানা করা হয়। নিয়ম লঙ্ঘনকারীরা এক বছর সরকারি কোনও পদে থাকতে পারেন নায ভোট দিতে ব্যর্থ হলে শুধু অসুস্থতা বা ভোটকেন্দ্র থেকে দূরত্বের মতো কারণ উল্লেখ করা যায়। এর বাইরে ছাড় নেই।

    অস্ট্রেলিয়া-১৯২৪ সালে প্রথম কম্পালসারি ভোটের আইন চালু হয় অস্ট্রেলিয়ায়। প্রথমবার ভোট দিতে ব্যর্থ হলে অস্ট্রেলিয়ান ২০ ডলার জরিমানা করা হয়। আর এরপর থেকে এই জরিমানা বেড়ে হয় ৫০ ডলার। অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচন কমিশন অনুসারে, এই জন্য কেউ চাইলে আদালতে যেতে পারেন। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত সর্বোচ্চ ২২২ অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা গুনতে পারে।

    বেলজিয়াম-ভোট না দিলে এই দেশে ৮০ ইউরো থেকে ২০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করাহতো। আর কেউ যদি পর পর চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে ব্যর্থ হলে ১০ বছরের জন্য তাঁর ভোটাধিকার বাতিল করা হয়। অনুপস্থিতদের তালিকা পাবলিক প্রসিকিউটরদেরঅফিসে না পাঠানোর কারণে ভোট না দেওয়ার অপরাধ করা নাগরিকদের বিচার পাওয়ার ঘটনা কমে এসেছে।
  • Link to this news (এই সময়)