শাশুড়ির প্রেমে হাবুডুবু বৌমা! ঘনিষ্ঠ হতে স্বামীর থেকে ডিভোর্স দাবি, ফ্যাসাদে বৃদ্ধা
এই সময় | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
কে যে কখন কাকে ভালোবাসে ফেলবে বোঝা বড়ই দুষ্কর! কখন যে কার উপর ভালোবাসার ডালি উজাড় হয়ে যাবে বলা যায় না কিছুই! উত্তর প্রদেশের ঘটনা জানলে চোখ কপালে উঠবে। সাধ করে ছেলের বিয়ে দিয়ে নববধূ ঘরে তুলেছিলেন। ভেবেছিলেন বয়স হচ্ছে, বাকি জীবনটা ছেলে-ছেলের বউ সকলে মিলে একসঙ্গে কাটাবেন সুখে-দুখে। তবে কিছুদিন পরেই যেএমন 'ফ্য়াসাদে' পড়তে হবে কল্পনাও ছিল না।সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরের এক বৃদ্ধা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশের কাছে কাকুতি-মিনতি 'পুত্রবধূর হাত থেকে বাঁচান স্য়ার।' না, পুত্রবধূর অত্য়াচার থেকে নয় ভালোবাসা থেকে মুক্তি পেতে চান তিনি! সেই ভালোবাসা যে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে তাঁকে! বৃদ্ধার অভিযোগ তাঁর পুত্রবধূ এখন স্বামীকে ছেড়ে তাঁকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। আর সেই ভালোবাসার থেকেই কোনওরকমে 'রেহাই' পেতে চাইছেন তিনি।
সায়ানা এলাকার এমন ঘটনায় তাজ্জব অনেকেই। SSP-র কাছে বৃদ্ধা জানিয়েছেন, দু'বছর আগে একমাত্র ছেলের বিয়ে দিয়ে ঘরে পুত্রবধূ এনেছিলেন তিনি। কিছু দিন পরে পুত্রবধূ তাঁর স্বামী অর্থাৎ বৃদ্ধার ছেলেকে বাদ দিয়ে শাশুরি অর্থাৎ বৃদ্ধার প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করেন। এমনকী পুত্রবধূ তাঁকে বলে স্বামীর সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক না হয়ে শাশুড়ির সঙ্গে হলেই ভালো হত। এই নিয়ে 'আক্ষেপের সুরে' একটি ভিডিয়োও বানিয়েছিলেন পুত্রবধূ বলে অভিযোগ বৃদ্ধার।
পুত্রবধূর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন শাশুড়ি। তাঁর অভিযোগ, 'যে মুহূর্ত থেকে তাঁর প্রতি পুত্রবধূর নজর পড়ে তখন থেকে তিনি দাবি করতে থাকেন স্বামী নয় বরং আমার প্রতি সবটা ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছেন তিনি।' তাঁর দাবি, পুত্রবধূ তাঁকে জানায়, ছেলের সঙ্গে বিয়ে একটি অজুহাত ছিল মাত্র। তাঁর সত্যিকারের ইচ্ছা ছিল শাশুড়ির সঙ্গে জীবন কাটানো। এমনকী শশুড়ের সঙ্গে শাশুড়ির থাকাতেও আপত্তি তোলেন পুত্রবধূ। শাশুড়ির উপর অধিকার শুধুমাত্র তাঁরই এমনটা দাবি করেন পুত্রবধূ। তাঁর অভিযোগ, শাশুড়ি যেন তাঁর প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেন এনিয়ে তাঁকে জোরাজুরিও করছেন পুত্রবধূ। শাশুড়ির সঙ্গে জোর করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চান তিনি বলে অভিযোগ। এমনকী ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে না জড়ালে শাশুড়িকে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকিও নাকি দিয়েছেন তিনি। এমনকী শাশুড়িকে সহবাসে রাজি করাতে একাধিকবার তাঁকে সমপ্রেমের খবরও দেখিয়েছিলেন পুত্রবধূ।
বৃদ্ধার অভিযোগ, পুত্রবধূকে একাধিকবার তিনি বোঝাবার চেষ্টা করেছেন তিনি তাঁকে পুত্রবধূ হিসেবে স্নেহ করেন, ভালোবাসেন। তবে তার থেকে বেশি কিছু নয়। অন্য কোনও ধরনের সম্পর্কে তাঁর পক্ষে জড়ানো সম্ভব নয় বলেও বৃদ্ধা একাধিকবার পুত্রবধূকে বোঝান। তবে সেসব কথায় কান দিতে রাজি নয় পুত্রবধূ। শাশুড়ির সঙ্গে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপনে তিনি নাকি বদ্ধপরিকর। এমনকী মহিলা শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চেয়ে স্বামীর থেকে ডিভোর্সও চেয়েছেন বলে দাবি বৃদ্ধার।
এ নিয়ে কী বলছেন মহিলার ছেলে? বিষয়টি আর একান্তই ব্যক্তিগত নেই। গোটা পরিবারেই চাওর হয়ে গিয়েছে ঘটনাটি। ছেলের কথায়, 'স্ত্রী আমাদের বৈবাহিক বন্ধনে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছে। ও আমার মায়ের সঙ্গে থাকতে চায়। এমনকী ও কল্পনাও করে নিয়েছে ভবিষ্যতে ও এবং আমার মা সহবাস করবে আমার অনুপস্থিতিতে। আমরা বিষয়টি আমল দিচ্ছি না। কিন্তু ও বদ্ধপরিকর। এমনকী ও জানিয়েছে মা এসম্পর্ক মেনে না নিলে ও মরে যেতেও রাজি। বিষয়টি এখানে শেষ নয়। বৃদ্ধার পুত্রবধূর পরিবার এসব ঝঞ্ঝাট থেকে তাঁদের মুক্তি দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে অভিযোগ। বৃদ্ধার অভিযোগ, পুত্রবধূর বাবার বাড়ি থেকে এখন আমাদের ২০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য় চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাহলেই ওরা ওদের মেয়েকে নিয়ে চলে যাবে। শাশুড়ি তথা বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।