Sikkim Railway Station : ট্রেনে চেপে কতক্ষণে সিকিম? কোন কোন স্টেশন পেরিয়ে বাংলা থেকে রংপো?
এই সময় | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সিকিম বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান হলেই পর্যটকদের চিন্তা থাকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ধরার। পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকলেও সুযোগ বুঝে দাঁও মারতে শুরু করেন গাড়িচালকরাও। মোটা টাকার বিনিময়ে NJP থেকে গাড়ি ধরে অগত্যা সিকিমের উদ্দেশে রওনা দিতে হয়। তবে সে সব দিন এখন অতীত। খুব শীঘ্রই এক ট্রেনে পৌঁছে যাওয়া যাবে সিকিম। থাকবে না গাড়ি ধরার ঝক্কি। কতক্ষণ সময় লাগবে বাংলা থেকে সিকিম পৌঁছতে?সেবক-রংপো রেল প্রজেক্টসিকিম লাভারদের জন্য সুখবর। সিকিমে তৈরি হচ্ছে প্রথম রেল স্টেশন। এবার এক ট্রেনেই সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে সেখানে। বাংলার সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে রেললাইন তৈরির কাজ। যা আগামী ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
এর মধ্যে থাকবে ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ (১৩টি বড় এবং ৯টি ছোট)। এই রেললাইন হবে মোট ৪৪.৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। ১৪টি টানেলের মধ্যে ১০টি টানেলের খননকার্জ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। চারটি টানেলে রেললাইন পাতার কাজও হয়ে গিয়েছে। বাকি ছ'টিতে কাজ চলছে। ১৩টি মূল ব্রিজের মধ্যে ১২টিরই প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেবক-রংপো রেল প্রজেক্টে ইতিমধ্যেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৮৫৫ মিটার লম্বা আপৎকালীন সুড়ঙ্গের। যে কোনও এমারজেন্সি পরিস্থিতিতে এই সুড়ঙ্গ পথেই বাইরে বের হওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা। সিকিমগামী রেলপথে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের নীচে এই সুড়ঙ্গ খনন করাই ছিল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ।
কোন কোন স্টেশনের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাবে সিকিমে?পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমগামী ট্রেন মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থামবে। তালিকায় রয়েছে সেবক, রিয়াং, তিস্তা বাজার, মেল্লি এবং রংপো। প্রত্যেকটি স্টেশনই পর্যটনের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয়। এর মধ্যে তিস্তা বাজার স্টেশনটি হবে দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেলওয়ে স্টেশন।
কতক্ষণ সময় লাগবে সিকিম পৌঁছতে?সেবক থেকে রংপোগামী রেললাইন হবে মোট ৪৪.৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ প্রসঙ্গে NFR-এর জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেব বলেন, 'এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। প্রথমে এই লাইনে পরীক্ষার জন্য চলবে মালগাড়ি। বারবার তা চালিয়ে সমস্ত দিক পরীক্ষা করে দেখা হবে। কতক্ষণে চ্রেন গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে, প্রতিটি স্টেশনে পৌঁছতে কত সময় লাগছে। তা খতিয়ে দেখা হবে। ফলে এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় ঠিক কতক্ষণে রংপো স্টেশনে এই ট্রেন পৌঁছবে। ট্রেনের গতিবেগ পাহাড়ি রাস্তায় গড়ে ওঠা রেললাইনে ঠিক কতটা রাখা যায় তা বারবার মালগাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করে তবেই নির্ধারণ করা হবে। পুরো বিষয়টাই সময়সাপেক্ষ।'
কবে চালু হবে এই রুটের প্যাসেঞ্জার ট্রেন?নীলাঞ্জন দেব বলেন, 'রেলের কাছে যাত্রী নিরাপত্তা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাতে যদি আরও ছয় মাস সময় লাগে তো লাগুক। কিন্তু, সব দিক বিবেচনা করে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর গ্রিন সিগন্যাল মিলবে। রেললাইন তৈরি সম্পন্ন হয়ে গেলে প্রথমেই প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানো হবে না। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে মালগাড়ি। প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হতে হতে কমপক্ষে আগামী বছরের শেষ হয়ে যাবে।'