অমেঠি এবং রায়বরেলি আসনের প্রার্থী নিয়ে এখনও সাসপেন্স জিইয়ে রেখেছে কংগ্রেস। গান্ধী ভাইবোন এই দুই আসন থেকে আদৌ লড়বেন কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও ঘোষণার নামগন্ধ নেই হাত শিবিরে। এদিকে, হতাশা ক্রমশ গ্রাস করছে নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে। প্রিয়াঙ্কা এবং রাহুলের ভোটে লড়াইয়ের আশা বুক বেঁধেছিল রায়বরেলি ও অমেঠি। কিন্তু, মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়ে যাওয়ার পরও কোনও নাম ঘোষণা না হওয়ায় মনক্ষুন্ন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।শেষ পর্যন্ত রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কি ভোটে লড়বেন? এই নিয়ে জল্পনার মাঝেই সূত্র মারফত খবর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেই চূড়ান্ত ঘোষণা করবেন। অর্থাৎ অমেঠি এবং রায়বরেলির ভাগ্য এখন খাড়গের হাতে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটির বৈঠকে উত্তর প্রদেশের সভাপতি রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কাকেই প্রার্থী করার বিষয়ে জোরাল সওয়াল করেছেন। তবে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি সে বৈঠকে।
এদিকে, বৈঠকের আগে শনিবার অসমে সাংবাদিকদেক প্রশ্নের উত্তরে খাড়গে বলেছিলেন, 'আর দু'একটা দিন অপেক্ষা করুন। অমেঠি এবং রায়বরেলিতে কে প্রার্থী হবে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হবে।' অমেঠি থেকে রাহুল গান্ধী কেন নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন? ফের একবার স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যাওয়ার ভয়ে? BJP নেতাদের এ হেন প্রশ্নের জবাবে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, 'যারা কংগ্রেস নেতাদের বারবার আসন পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তারা মনে করে দেখুক অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং লালকৃষ্ণ আডবানি কতবা কেন্দ্র বদলেছেন।'
লোকসভা নির্বাচনে বরাবরই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে অমেঠি এবং রায়বরেলি কেন্দ্রদু'টি। এই দুই কেন্দ্রই কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত। যদিও ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের অমেঠির সাংসদ রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হন। এদিকে, ২০০৪ সাল থেকে রায়বরেলি কেন্দ্র ধরে রেখেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এই কেন্দ্র থেকে রাজ্যসভায় পাড়ি দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম পর্বে আগামী ২০ মে ভোট রয়েছে অমেঠি এবং রায়বরেলিতে। মনোনয়ন জমা করার শেষ তারিখও ক্রমশ এগিয়ে আসছে।