• Prachi Nigam: 'কেন যে ফার্স্ট হলাম...', মুখ ভর্তি লোম নিয়ে নেটপাড়ার ব্যঙ্গে মর্মাহত টপার প্রাচী
    এই সময় | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • উত্তর প্রদেশের দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে সে। বোর্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৫% নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তবুও তাকে ট্রোলিং কম হচ্ছে না। নেট মাধ্যমে কুৎসিত ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে। কারণ তার মুখে বাড়তি লোম। তার যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রাচীর মুখে গোঁফের স্পষ্ট রেখা। আর সেই কারণে তাকে নিয়ে ব্য়াঙ্গ-বিদ্রুপ শুরু হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। একাধিক নেটিজেন বিশ্রীভাবে কটাক্ষ করেছে প্রাচীর মুখে গোঁফের রেখা নিয়ে। এবার সেইসব ট্রোলিংয়ের যোগ্য জবাব দিলেন প্রাচী নিগম। তার সাফ কথা, নম্বরটাই শেষ কথা বলবে তার মুখের বাড়তি অবাঞ্ছিত লোম নয়।সময় যতই গড়িয়েছে ট্রোলিং বিষয়টি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ট্রোলিং করতে গিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে সীমা। ভদ্রতা-সৌজন্য়তাও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাচ্ছে। যে কোনও বিষয়েই মিম তৈরি হয়ে যাচ্ছে। কখনও কখনও অশ্লীল রসিকতায় মেতে উঠছে নেট ভুবন। উলটো দিকের মানুষটা যে মানসিক ভাবে কতটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে, তার মনে উপর কতটা চাপ পড়ছে সেসব নিয়ে ট্রোলারা ভাবতে রাজি নয়। ট্রোলিং যে কোন মাত্রায় পৌঁছতে পারে তা এতটুকু বয়সেই টের পেয়েছে প্রাচরী। প্রায় একশো শতাংশের কাছাকাছি নম্বর পেয়েও প্রশংসার পরিবর্তে মুখের স্রেফ বাড়তি লোমের জন্য এবাভাবে কটাক্ষ তথা ট্রোলিংয়ের শিকার হবে তা তার কাছে একেবারেই অনভিপ্রেত ছিল। তবে এবার বিষয়টি মুখ খুলেছে সদ্য একাদশে ওঠা পড়ুয়া।

    প্রাচীর কথায়, 'আমি লক্ষ্য করেছি বহু মানুষ আমায় ট্রোল করছে। তবে এতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ আমার নম্বরটাওই আসল, মুখের লোম নয়। চাণক্যকেও তাঁর চেহারা নিয়ে খোঁচার মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে সেই খোঁচা, ব্যাঙ্গ তাঁকে প্রভাবতি করতে পারেনি।'

    তবে প্রাচী বুঝতে পেরেছে নেট দুনিয়ার সবটাই অন্ধকার নয়। ট্রোলিংয়ের মধ্য়েও বহু মানুষই আবার প্রাচীর পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের কথাও আলাদা ভাবে উল্লেখ করে বলেছে, 'অনেকেই আমায় নিয়ে ট্রোলিংয়ের যোগ্য জবাব দিয়েছেন। মেয়েদের মুখে এই ধরনে লোম যে হরমোনের সমস্য়ার জন্য তা সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।' তবে খানিক আক্ষেপের সুরও ঝড়ে পড়েছে প্রাচীর গলায়। তার কথায়, 'পরীক্ষায় কিছু কম নম্বর পেলে হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটা চর্চার পাত্রী হয়ে উঠতাম না। আমার মুখে লোমের জন্য হয়তো ট্রোলিংয়ের শিকারও হতাম না।' প্রাচীর সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রাচীকে প্রিয়াঙ্কার পরামর্শ কোনও বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে পড়াশোনার ফোকাস রাখতে। পাশাপাশি এই ধরনে কুরুচির মন্তব্য় প্রাচীর বয়সী মেয়ের মনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সর্বদাই মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে মানসিক ভাবে শক্তি জোগানোর চেষ্টা করেছেন বাবা-মা। এবার তার ব্য়তিক্রম নয়। সমস্ত ট্রোলিং অগ্রাহ্য করে তাঁরা কিশোরীকে এখন পরামর্শ দিচ্ছেন কেরিয়ারে ফোকাস রাখার। ভবিষ্যতে প্রাচী প্রকৌশলী হতে চায়। আরও বড় স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। সফল হলে সেটাই হবে ট্রোলিংয়ের যোগ্য় জবাব।
  • Link to this news (এই সময়)