'আমাদের সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ার আদৌ ধারণা আছে!' এবার বিরাটের রক্ষাকর্তা গম্ভীর
২৪ ঘন্টা | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ২৯ মার্চের ঘটনা। চলতি আইপিএলে (IPL 2024) প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (RCB vs KKR, IPL 2024)। আর এই ম্য়াচের আগে আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল একটাই। আইপিএলের আপামর ফ্য়ানরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন আরসিবি মহারথী বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) সাক্ষাতের! কারণ গতবছর আইপিএলে এই দুই তারকার মধ্যে যে তুমুল ধুন্ধুমার বেঁধেছিল মাঠে, তার স্মৃতি এখনও টাটকা। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সব সমীকরণ একেবারে বদলে গেল। এম চিন্নাস্বামীতে (M Chinnaswamy Stadium, Bengaluru) বিরাট-গম্ভীর একে অপরকে জড়িয়ে ধরে হাসিতে মাতেন। রাতারাতি ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।গম্ভীর এবার এক পডকাস্টে তাঁর আর কোহলির সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। আগেই কোহলি জানিয়েছেন যে, গম্ভীর আর তিনি যে একে অপরকে বুকে টেনে নেবেন, তা দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। কোহলি বলেছিলেন যে, মানুষ মশলা হারিয়ে হতাশ হয়েছেন। দেশের জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী ওপেনার বলছেন, 'দেখুন এই সবটাই মিডিয়ার টিআরপি-র খেলা। মিডিয়ার কোনও ধারণাই নেই আমি বা বিরাট মানুষ হিসেবে কেমন। মিডিয়া শুধু চায় একটা উত্তেজনা তৈরি করতে। তবে সেটা কিন্তু ইতিবাচক ভাবেও হতে পারে। আমি বিরাটের সঙ্গে পুরোপুরি সহমত, ও ঠিকই বলেছে, মানুষ মশলা হারিয়ে ফেলেছে আমাদের কাছাকাছি আসতে দেখে। আমি আগেও বলেছি দু'জন যথেষ্ট পরিণত মানুষের মাঝে কারোর হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। দু'জন মানুষের জীবন এবং সম্পর্ক একান্তই তাদের।'সকলেরই জানা যে, বিরাট যেমন নাচতে ভালোবাসেন, তেমনই ভালো নাচতেও পারেন। সে মাঠ হোক বা পার্টি। সুযোগ পেলেই বিরাট নেচে ওঠেন। এই প্রসঙ্গে গম্ভীর বলেন, 'আমি চেয়েও ওর মতো নাচতে পারব না। একটি মুভও সম্ভব নয়। আমার যদি বিরাটের থেকে কিছু শেখার থাকে তাহলে সেটা হবে ওর নাচের মুভ।'এই মুহূর্তে আইপিএলে অরেঞ্জ ক্য়াপ রয়েছে কোহলির মাথায়। ১০ ম্যাচে করেছেন ৪৩০ রান। কিন্তু তাঁর স্ট্রাইকরেট ১৫০-এর নীচেই! যা নিয়ে অনেকেই ভাবিত। বিরাটের স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। কোহলির রক্ষাকর্তা হয়ে এবার মাঠে নামলেন গম্ভীর। তিনি বলেন, 'প্রতিটি প্লেয়ারের খেলার ধরন আলাদা। ম্য়াক্সওয়েল যা পারবে তা কোহলি পারবে না, একই ভাবে কোহলি যা পারবে, তা ম্য়াক্সওয়েল পারবে না। দলের এগারোজন খেলোয়াড়ই সেই কারণে আলাদা। এক থেকে আট পর্যন্ত কেউ যদি বিধ্বংসী ব্য়াটারদের নিয়ে দল করে, তাহলে তারা ৩০০ রানও তুলতে পারে আবার ৩০ রানেও সবাই গুটিয়ে যেতে পারে। দলে ভারসাম্য় প্রয়োজন এই কারণেই। দলের জয় শেষ কথা। জিতলে ১০০-র স্ট্রাইক রেটও ভালো। আবার ১৮০ স্ট্রাইক রেটে ব্য়াট করেও হেরে যেতে পারে। জিতে গেলে কোনও কথা হয় না। এটাই বাস্তব। মেনে নিতে হবে।' গম্ভীর বুঝিয়েই দিলেন যে তাঁর হৃদয়ে কোহলির জায়গা ঠিক কোথায়!