আম কিনতে এ বছর পুড়বে আম আদমির হাত! আগুন হবে সবজিবাজারও...
২৪ ঘন্টা | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
রণজয় সিংহ: তীব্র দাবদাহ। নাজেহাল জনজীবন। পুড়ছে জমির ফসল। শুকিয়ে যাচ্ছে মালদার অর্থকরী ফসলও। আর সকলেই জানেন, কোনটা মালদার অর্থকরী ফসল! আম। জানা গিয়েছে, বাঙাালির পাতে মালদার আম এই বছর দুর্লভ হতে চলেছে। এমনিতে এই বছর মালদহের আমের 'অফ ইয়ার'। দেরিতে এসেছে আমের মুকুল। এর উপর আবহাওয়াও আমচাষের পক্ষে বিরূপ।
মালদহে ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। আম উৎপাদনে এবারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু তীব্র দাবদাহের ফলে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না এ বছর। ফলে, বাজারে মালদহের আম যেমন অমিল হতে পারে, তেমনই যে-আম মিলবে, তার দামও হবে যথেষ্ট চড়া। ফলে, আম কিনতে আম আদমির হাতে লাগবে ছ্যাঁকা!আমের পাশাপাশি মালদা জেলার ধান, সবজি, পাটচাষও ক্ষতির মুখে। তীব্র দাবদাহের ফলে জলসংকট শুরু হয়েছে জেলায়। তার প্রভাব পড়ছে চাষের জমিতেও। মাথায় হাত কৃষকদের। যাঁরা পারছেন তাঁরা মোটা টাকার বিনিময়ে সেলো পাম্প চালিয়ে জমিতে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা করছেন। সেলো পাম্প অপারেটররা জানান, আগে আট দিন পরপর জমিতে জল দিতে হত। কিন্তু তীব্র দাবদাহের জন্য এখন দুদিন পরপরই জল দিতে হচ্ছে চাষজমিতে।মালদা জেলাটি মূলত ফজলি আমের জন্যই সুপরিচিত। যদিও এখানে আমের অন্যান্য কয়েকটি জাতও সহজলভ্য। যেমন, গোপালভোগ, বৃন্দাবনী, ল্যাংড়া , ক্ষীরশাপাটি, কৃষ্ণভোগ ৷ এছাড়া পাটচাষ ও সিল্কের কাজের জন্যও বিখ্যাত মালদহ। পশ্চিমবঙ্গে কাঁচা সিল্ক তৈরিতে মালদহের অবদান ৮৫% ! যার বাজারমূল্যও বিপুল!