ভোট বয়কটের ডাক মেমারিতে, রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় মানুষ
২৪ ঘন্টা | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
পার্থ চৌধুরী: শুধু ভোট বয়কটের ডাক নয়, এলাকায় রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দিলালপুর অঞ্চলের মানুষ।প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় এবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রামবাসীদের। পূর্ব বর্ধমানের মেমারী বিধানসভার বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিলালপুর সহ প্রায় ৫টি গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এলাকায় একটি কাঠের পুলের সংস্কার না হওয়ায় তাদের এই ক্ষোভ বলে জানা গিয়েছে।
তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে মেলে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ভোট চলে গেলে জনপ্রতিনিধি বা নেতৃত্ব, কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না, অভিযোগ গ্রামবাসীদের।দিলালপুর হয়ে মেমারী আসার একমাত্র রাস্তা এই কাঠের ব্রীজ। তৎকালীন বাম আমলে এই কাঠের ব্রীজ তৈরী হলেও হয়নি কোনও রক্ষনাবেক্ষণ। এখন তা ভগ্নপ্রায়। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার।এই পরিপ্রেক্ষিতে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। দিলালপুর সহ তার পার্শ্ববর্তী আরও পাঁচ থেকে ছয়টি গ্রামের মধ্যে নেই কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচির ব্যানার। দেওয়াল লিখন থাকলেও তা মুছে দেওয়া হয়েছে। ভোট বয়কটে অংশগ্রহণ করছেন এলাকার মানুষজন।ইতিপূর্বে একাধিকবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপদজনক হিসেবে চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, প্রায় ১২ বছরেরও বেশি সময় ডিভিসি সেচ চ্যানেল এর উপর দাঁড়িয়ে থাকা কাঠের ব্রিজ। সময়ের সঙ্গে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে এই কাঠের সেতুটি। বয়সের ভারে কার্যত ধুঁকছে। স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ কিংবা মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়া কোন জরুরী রোগী এই কাঠের ব্রিজের উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে চলেছেন।এই বিষয়ে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী অসীম সরকার বলেন ‘আপনাদের মাধ্যমেই ভোট বয়কটের কথা শুনলাম আমি দ্রুত ওই এলাকায় যাব। মানুষের সঙ্গে কথা বলবো যাতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। চোরেদের যখন এতদিন সহ্য করতে পেরেছেন, আমাদের একবার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাবো। সুযোগ পেলেই মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবো কথা দিলাম’।অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, 'স্থানীয় কিছু সমস্যায় এই কাজ করা যায়নি। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন, ভোট দিন। ব্রীজ, রাস্তা দুটোই হবে। বিজেপির প্রতিশ্রুতির কোনও দাম নেই।'