Hajj 2024 : হজ নিয়ে বড় পদক্ষেপ সৌদি সরকারের, যাত্রীদের জন্য জারি ফতোয়া পরিষদের নির্দেশ
এই সময় | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
হজযাত্রীদের জন্য কড়া নিয়ম জারি করল সৌদি আরব সরকার। সে দেশের ফতোয়া পরিষদ হজের জন্য পারমিট বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে। প্রতিটি নিয়ম প্রত্যেক হজযাত্রীকে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে সেই পরিষদ।সৌদি আরবের বরিষ্ঠ বিদ্যজনদের নিয়ে তৈরি ফতোয়া পরিষদের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। আধিকারিক পারমিট ছাড়া হজযাত্রা করা যাবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে। হজযাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই নিয়ম বলে জানা গিয়েছে। পারমিট ছাড়াও এই ফতোয়া পরিষদ ইসলামের সমস্ত নিয়ম মেনে চলার মাহাত্ম্যও বুঝিয়েছে।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক, হজ মন্ত্রক, গ্র্যান্ড মসজিদ এবং পয়গম্বরের মসজিদের সমস্ত বিষয় দেখভাল করার জন্য তৈরি নিয়মের মধ্যেই হজযাত্রা নিয়েও একাধিক নির্দেশিকা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সৌদি আরবের হজ এবং উমরাহ মন্ত্রকের তরফে হজযাত্রার পরিকল্পনা করা সমস্ত মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনুরোধ রাখা হয়েছে, যাতে প্রত্যেকটি নিয়মাবলী সঠিকভাবে মেনে চলা হয়। হজযাত্রীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতেই সৌদি আরব প্রশাসন কঠোর নিয়মাবলী লাগু করছে বলেও মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
পারমিটের মাধ্যমে কী কী সুবিধা?পারমিট থাকলে হজযাত্রার সঙ্গে জড়িত সমস্ত নিয়মকানুন সহজভাবে পালন করা সম্ভব হবে। শরিয়া অনুযায়ী সেবাগুলি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না হজযাত্রীদের। বাড়তে থাকা হজযাত্রীদের সংখ্যার কথা মাথায় রেখে বিশৃঙ্খলা এড়াতেই এই পারমিটের বন্দোবস্ত করেছে সৌদি আরব প্রশাসন। বরিষ্ঠ বিদ্যজনেদের ফতোয়া পরিষদের মতে, এই পারমিট সংগ্রহ করা কেবলমাত্র আইন মেনে চলাই নয়, ইসলামের শিক্ষার পরিচয়ও বহন করবে। যারা এই পারমিট গ্রহণ করবেন তাদের প্রশাসনের তরফে বাহবা দেওয়া ছাড়াও পুরস্কৃতও করা হবে।
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে প্রায় ২০ লাখ ভারতীয় তীর্থযাত্রী হজ করতে সৌদি আরবে যেতে পারেন বলে অনুমান। গোটা দেশজুড়ে প্রচুর সংখ্যক মানুষ হজের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। তার মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে হজযাত্রার জন্য। এ ছাড়াও ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ স্ব-উদ্যোগে হজে যাচ্ছেন।
গত বছরই ভারত এবং সৌদি আরব সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের জন্য ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৫ জন হজযাত্রীদের কোটা তৈরি রেখেছে সৌদি আরব। ভারতীয় হজ সমিটির মাধ্যমে ১ লাখ ৪০ হাজার ২০টি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। হজ গ্রুপ সঞ্চালকের মাধ্যমে ৩৫ হাজার ৫ জনকে হজযাত্রায় পাঠানো হচ্ছে।