Bird Flu In India : চিকেন-ডিম খাওয়া বন্ধ? দেশে বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস মেলায় আতঙ্ক, কী বলছেন চিকিৎসকরা?
এই সময় | ২৮ এপ্রিল ২০২৪
ঝাড়খণ্ডে বার্ড ফ্লুয়ের কেস রিপোর্ট হতেই মাংস এবং ডিম খাওয়া নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। রাঁচির একটি সরকারি পোলট্রিতে বার্ড ফ্লু পাওয়া গিয়েছে, তারপর থেকেই ঝাড়খণ্ড সরকার অ্যালার্ট জারি করেছে।জানা গিয়েছে, রাঁচির ওই পোলট্রি ফার্মে মুরগি এবং পায়রার শরীরে বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। এরপর ১ হাজার ৭৪৫টি মুরগি এবং ৪৫০টি পায়রা সহ মোট ২ হাজার ১৯৫টি পাখি মেরে ফেলা হয়েছে। তাদের পাড়া ১ হাজার ৬৯৭টি ডিমও বৈজ্ঞানিক উপায়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। ওই পোলট্রির এক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সমস্ত মুরগি, পায়রা এবং পাখির ডিমগুলিকে নষ্ট করে ফেলার কাজ চলছে।
বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস অন্যান্য ভাইরাসের মতো পশুপাখির পাশাপাশি মানুষের শরীরেও থাবা বসাতে পারে। সে কারণে রাঁচির ওই পোলট্রি ফার্মে কর্মরত দুই চিকিৎসক এবং ছয় জন কর্মচারীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। পোলট্রি ফার্মের আশপাশের এলাকাগুলিকেও কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
রাঁচি থেকে অন্য কোনও শহরে এই বার্ড ফ্লুয় ছড়িয়ে না পড়ে, সেই আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রাঁচি সরকার। যে পোলট্রিতে H5N1 ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ওই এলাকায় মুরগির মাংস এবং ডিম বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাতারাতি। মুরগি এক জায়গা থেকে অন্যত্র বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আপাতত স্থানীয়দের চিকেন এবং ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ডা. ধনঞ্জয় সিনহা বলেন, 'চিকেন যদি ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ভালোভাবে রান্না করা হয় তাহলে তা খেতে কোনও আপত্তি নেই। তবে এক মাস চিকেন না খাওয়াই শ্রেয়।' রাঁচিতে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক তৈরি হতেই সদর হাসপাতালে ১০টি বেড সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভয় না পেয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সংক্রমিত মুরগির মাংস এবং তার ডিম খেয়ে বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংক্রমিত পাখির সংস্পর্ষে এলেও বার্ড ফ্লুয়ের ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। যদি কেউ বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে কী ভাবে বুঝবেন? জ্বর এবং গলা খুশখুশ বার্ড ফ্লুয়ের অন্যতম প্রধান উপসর্গ। সর্দি, কাশি এবং জ্বর থাকলে কখনওই তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। বুকে কফ জমে থাকা এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো বাধ্যতামূলক। বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে থাকলে খিদের সমস্যাও হয়। ঘুম না আসা, গাঁটে গাঁটে ব্যথাও বার্ড ফ্লুয়ের উপসর্গ হয়ে থাকতে পারে।