• Narednra Modi: 'কংগ্রেসের ইস্তেহারে মুসলিম লীগের ছাপ স্পষ্ট', আপত্তির কারণ খোলসা মোদীর
    এই সময় | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ফের ইস্তেহার নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কংগ্রেসের ইস্তেহার মুসলিম লীগের ভাবনার প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রীর আরও দাবি, যখনই তিনি উন্নয়নের কথা বলেছেন, তখনই বিরোধী দল চাইছে লুঠ করতে। মোদীর কথায়, কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশের পর ১০ দিন অপেক্ষা করেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন তা নিয়ে হয়তো কাঁটাছেড়া-বিশ্লেষণ হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিজেই 'ময়দানে' নামেন।কী বলেছেন মোদী?

    সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলির ইস্তেহার কি নেহাতই লোক দেখানো? প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ইস্তেহার পড়া মিডিয়ার কাজ। এ বিষয়ে মিডিয়ার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম। প্রথম দিনেই কংগ্রেসের ইস্তেহার নিয়ে মন্তব্য করেছিলাম। ইস্তেহারটি দেখে আমার মনে হয়েছে এতে মুসলিম লীগের ভাবনার ছাপ রয়েছে। ভেবেছিলাম কংগ্রেসের ইস্তেহার দেখে হয়তো মিডিয়াও অবাক হয়ে যাবে, সরব হবে। কিন্তু পরে আমি দেখলাম কেউ এনিয়ে কিছু বলছে না। যা কংগ্রেস ইস্তেহারে উল্লেখ করেছে শুধুমাত্র সেটির উপরেই আলোকপাত করছে, কোনও কাটাছেঁড়া বা বিশ্লেষণ হচ্ছে না। তখনই আমার মনে হল বিষয়টি সামগ্রিক পরিস্থিতির নিরিখে বড় কেলেঙ্কারি। আমায় সত্যটি খুঁজে বের করতে হবে। অবশেষে তাই সত্যগুলি প্রকাশে বাধ্য হলাম।'

    কংগ্রেস সরকারের আমলের সঙ্গে তাঁর সরকারে আমলে তুলনা টেনে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে বিঁধতে ছাড়েননি মোদী। মোদী বলেন, 'নির্বাচনের প্রচারের সময় আমরা মূলত দু'টি বিষয়ের উপর নজর দিয়েছিল। এক, আমরা সমাজের কল্যাণে কাজ করেছি। এছাড়া আগের

    সরকারের সঙ্গে এই সরকারের যা সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ চালিয়ে গিয়েছি। কোনও সরকারই মানুষের খারাপ করার জন্য গঠিত হয় না, ভালো করতেই চায়। কিছু মানুষ জানে কীভাবে অন্যের জন্য ভালো করতে হয়, কিছু মানুষ ভালো কিছু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। আমি এমন একজন ব্যক্তি যে কঠোর পরিশ্রম করতে এবং জিনিসগুলি করতে বিশ্বাসী।' তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মোদী ভবিষ্যতের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরেন। দিন কয়েক আগেই উত্তরাধিকার শুল্ক নিয়ে শ্যাম পিত্রোদার মন্তব্যকেই এবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করে নিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসকে আক্রমণ প্রসঙ্গে ফের তাঁর মুখে উঠে আসে উত্তরাধিকার কর বা শুল্ক প্রসঙ্গ। তাঁর দাবি ছিল, কংগ্রেস আরও চড়া হারে শুল্ক চাপাতে চায় আর নিজেদের কোষাগার ভরতে চায়।
  • Link to this news (এই সময়)