জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাম্প্রতিক ভারতীয় ক্রিকেটে, খুব অল্প সময়ের মধ্য়ে যে নিজের জাত চিনিয়েছেন, তিনি রিঙ্কু সিং। কেকেআরের (KKR) নায়ক সাদা বলের ক্রিকেটে পাঁচ এবং ছয় নম্বর জায়গায় আগামীর তারকা হিসেবে প্রমাণ করেছেন নিজেকে। তাঁকেই ভাবা হচ্ছে প্রকৃত 'ফিনিশার' হিসেবে। ২০২৩ সালের আইপিএল-এর ১৪ ম্যাচে ৪৭৪ রান করেছিলেন রিঙ্কু। সর্বোচ্চ লখনউ সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে ৩৩ বলে অপরাজিত ৬৭ রান। গড় ৫৯.২৫। স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৫৩। সঙ্গে ছিল চারটি অর্ধ শতরান। এরপর থেকে আর রিঙ্কুরে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধুই এগিয়ে গিয়েছেন অত্য়ন্ত অভাবী ঘরের ছেলে। সম্প্রতি রিঙ্ক ও কেকেআরের সহকারি কোচ অভিষেক নায়ারকে নিয়ে বিশেষ পডকাস্ট এপিসোড শ্যুট করেছে কেকেআর। তারই কিছু নির্বাচিত অংশ তুলে ধরা হল।
৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে কেকেআরকে জেতানোর প্রসঙ্গে
'আমি যখন ব্য়াট করতে নেমেছিলাম, তখন ভালো ব্য়াট করতে পারছিলাম না। এরপর আমি ছয় ও চার মারি। এরপর থেকে ব্য়াটে সুন্দর ভাবে বল আসছিল। আমি জানতামও না শেষ ওভারে কত রান বাকি ছিল! আমি ভেবেছিলাম আমার ব্য়াটিং পদের ছিল না। আমরা মনে হয় ম্য়াচটা হেরে যাব। এরপর আমি তৃতীয় ছয় মারি। এরপর স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাই, দেখি দুই বলে ১০ রান বাকি। তারপর আমি বুঝি যে, না এখান থেকে জেতা যাবে। এরপর আমি আবার জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতাই।'
'আগে রাতে ভূতের গল্প শুনলে ঘুমোতে পারতাম না। অন্য় ঘরে গিয়ে ঘুমোতাম। এখন একাই শুই তবে ঘরের আলো জ্বালিয়ে'
বাঁদরের বারবার নির্যাতন
রিঙ্কু এই পডকাস্টে জানিয়েছেন যে, তাঁর বাঁ-হাতে বাঁদর ছ'বার কামড়েছে। এই প্রসঙ্গে রিঙ্কু বলেন, 'আমাকে বাঁদর কামড়েছে ছ'বার। আমার মনে হয় বাঁদররা আমাকে ভালোবাসে।'
কেন রিঙ্কুর ট্যাটুর ঘড়ির কাঁটায় ২টো ২০ মিনিট
'৮০ লক্ষ টাকায় কেকেআর আমাকে নিলামে নিয়েছিল। মনে হয় তখন সময় ছিল দপুর ২টো ২০ মিনিট। আর ওই টাকাতেই আমাদের পরিবারের সব সমস্য়ার সমাধান হয়েছিল। আমরা সব ধার মিটিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর থেকেই আমার জীবন বদলে যায়।'
আইসিসি বলে দিয়েছে যে, ১ মে ডেডলাইন। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলিকে, তার মধ্য়ে দলের তালিকা দিতে হবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে। দ্রুত রোহিত শর্মা বসবেন অজিত আগরকরের নির্বাচক কমিটি ও দ্রাবিড়ের সঙ্গে। তারপরেই বেছে নেওয়া হবে ১৫ সদস্য়ের স্কোয়াড। রিঙ্কু দলে থাকবেন তা এখনই বলে দেওয়া যায়।