সঞ্জয় রাজবংশী: নেই বৃষ্টি, তাই ডাবের ফলনেও খামতি দেখা দিয়েছে। তাপপ্রবাহে নাজেহাল মানুষ। এদিকে এই আবহাওয়াতেই ডাবের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু ডাবের চাহিদা থাকলেও কালনায় ডাব প্রায় অমিল। কোথাও ডাব পাওয়া গেলেও তার দাম আকাশছোঁয়া!কেন হঠাৎ ডাবের এই আকাল?
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আসলে ভোটের দামামা এসে বাড়িয়ে দিয়েছে ডাবের দাম। অনেক জায়গাতেই ভোটপ্রচারে গিয়ে গরমের হাত থেকে বাঁচতে এবং সাময়িক গলা ভেজাতে ডাবের জলেই চুমুক দিতে পছন্দ করছেন দলীয় প্রার্থীরা। ফলে ডাবেই চুমুক দিচ্ছেন তাঁরা, চুমুক দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গীসাথীরাও, রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা। ফলে একদিনে একটি ছোট জায়গায় হঠাৎই ডাবের চাহিদা অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। আর তার জেরে এলাকাভিত্তিক এই ডাব-সংকট দেখা দিচ্ছে।
এই গরমে ডাবের চাহিদা যথেষ্ট থাকলেও তা এলাকাভিত্তিক ভাবে যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রাখা সম্ভবও হচ্ছে না ব্যবসায়ীদের পক্ষে। ফলনই তো কম হয়েছে! চাহিদা বেশি কিন্তু জোগান কম হলে সব ক্ষেত্রে যা হয়, সেটাই ঘটছে ডাবের ক্ষেত্রেও। ডাবের জল খেতে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেট থেকে। ডাবের জল খেতে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হচ্ছে কালনাবাসীদেরও। কত দাম ডাবের এখানে? একটি ছোট ডাবের দাম পড়ছে এখন ৬০ টাকা! অথচ ক'দিন আগেই ওই ছোট আকারের ডাবের দাম ছিল মাত্র ২৫ টাকা! আর এর চেয়ে সামান্য বড় ডাবের দাম যা তখন ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মতো, এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৮০/৯০ টাকায়! প্রায় কয়েকগুণ দাম বেড়েছে!গত বছরে এর থেকে কম গরম ছিল। ডাবের ফলনও মন্দ ছিল না। ফলে, ডাবের দাম অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু এবার ছবিটা পুরোপুরি বিপরীত। এবার গরম বেশি। ফলন কম। আর কয়েকদিনের দাবদাহের জেরে ডাবের চাহিদাও যেমন চরমে, দামও তেমন তুঙ্গে। অথচ আসল জিনিসটিই প্রায় দুর্লভ হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাজার থেকে!