সোমবার ভোরে বড়বাজারের একটি প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। আগুন যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেই কারণে তড়িঘড়ি আরও কয়েকটি দমকলের ইঞ্জিন সেখানে এসেছে। জানা গিয়েছে, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। গুদামে প্লাস্টিকের সামগ্রী ছিল বলেই জানা যাচ্ছে।সোমবার ভোট ৫টা নাগাদ বড়বাজারের নাখোদা মসজিদের কাছে এই গুদামটিতে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। খবর দেওয়া হয় দমকল এবং পুলিশে। সেখানে এসে পৌঁছয় দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়। প্রথমে দূর থেকেই হোসপাইপের মাধ্যমে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়।
এখনও পর্যন্ত এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। জানা গিয়েছে, ওই গোডাউনটি পিচবোর্ডের। কী ভাবে আগুন লেগেছে? তা এখনও জানা যায়নি। দুই ঘণ্টার বেশি সময় এই আগুন জ্বলছে। প্রথমে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়। পরে আরও তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।
আগুন নেভানোর কাজ চলছে। কী ভাবে লাগল আগুন? তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিন সুজিত বসু বলেন, 'কী ভাবে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি পিচবোর্ডের গোডাউনে আগুন লাগে। তারপর সেখান থেকে পাশের দুটি বাড়ি এবং নীচের তলায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। কোনওভাবেই যাতে আর আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেই কারণে চলছে কুলিং প্রক্রিয়া।'
ওই গোডাউনটির আদৌ কোনও আইনি বৈধতা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দমকলমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল আগুন নেভানো। তা হলে গেলে বিস্তারিত তদন্ত হবে। সেই সময়ই এই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। আমরা ফায়ার অডিট করি। বারবার মানুষকে সতর্ক থাকতে বলি।'
এদিকে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাপস রায় এবং মীনা দেবী পুরোহিত। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, ওই গোডাউনির আইনি বৈধতা ছিল না। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। তবে তা একেবারেই প্রাথমিক অনুমান। তদন্ত পূর্ণ না হলে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। গোডাউনটির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।