• Study On Lesbians : সমাজের বিষাক্ত নজর! লেসবিয়ানদের মধ্যে বাড়ছে মৃত্যুর হার, গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য
    এই সময় | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • মানুষের যৌন আকাঙ্খার উপর নির্ভর করে সম্প্রতি মৃত্যুর হার নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়, বস্টন শিশু হাসপাতাল এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। যেখানে দেখা গিয়েছে, হেটেরোসেক্সুয়াল মহিলাদের তুলনায় বাইসেক্সুয়ালদের মধ্যে অকাল মৃত্যুর হার ৩৭ শতাংশ বেশি। লেসবিয়ানদের মধ্যে এই পরিসংখ্যান ২০ শতাংশ বেশি।সমপ্রেমী এবং উভপ্রেমী মহিলাদের নিয়ে এই ধরণের সমীক্ষা বিশ্বে প্রথম। যৌন সংখ্যালঘু মহিলাদের স্বাস্থ্য বৈষম্যতা নিয়ে এই সমীক্ষা নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এর আগে অবশ্য শারীরিক নানা ইস্যু নিয়ে বিষমপ্রেমী এবং সমপ্রেমী মহিলাদের মধ্যে ফারাক তুলে ধরা হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যুর হার নিয়ে সমীক্ষা এই প্রথম। যৌন সংখ্যালঘু মহিলাদের মধ্যেও একাধিক ভাগ রয়েছে। তাদের নিয়ে এই ধরণের সমীক্ষায় একাধিক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট উঠে এসেছে।

    এই গবেষণার মূল অধ্যাপক হার্ভার্ড পিলগ্রিম হেলথ কেয়ার ইনস্টিটিউটের সারা ম্যাকেট্টা ব্যাখ্যা করেন যৌন আকাঙ্খার উপর ভিত্তি করে একাধিক শারীরিক বৈষম্য নজরে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেও দেখা গিয়েছে, LGBTQ+ কমিউনিটির মানুষদের একটি দম বন্ধ করা পরিবেশের মধ্যে দিনযাপন করতে হচ্ছে। এতে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। ড. ম্যাকেট্টা বলেন, 'LGBTQ কমিউনিটির মানুষেরা অদ্ভূদ ধরণের কলঙ্ক, কুসংস্কার এবং বৈষম্যের মুখোমুখি হন। যা তাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্ষতি করছে। লাগাতার সামাজিক চাপের কারণে মারাত্মক মানসিক অবসাদ তৈরি হচ্ছে তাদের মধ্যে। অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে সেই অবসাদের মোকাবিলা করা হচ্ছে, সঠিক ট্রিটমেন্ট হচ্ছে না। ফলাফল অকাল মৃত্যু।'

    গবেষকের অন্যতম বরিষ্ঠ অধ্যাপক হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল অ্যান্ড হার্ভার্ড পিলগ্রিম হেলথ কেয়ার ইনস্টিটিউটের ব্রিট্যানি চার্লটন ব্যাখ্যা করেছেন, LGBTQ+ কমিউনিটির মধ্যে বাইসেক্সুয়াল মহিলাদের নিয়ে বায়োফোবিয়ায় ভোগে অধিকাংশ মানুষ। অধ্যাপক বলেন, 'যৌন আকাঙ্খার কারণে এবং তারা কী ধরণের পার্টনার পছন্দ করেন সেই নিয়ে উভপ্রেমী মহিলাদের ঘৃণা করেন অধিকাংশ। উভপ্রেমী মহিলাদের মধ্যে মৃত্যুর হার ক্রমশ বাড়ছে। যা বেশ উদ্বেগজনক।'

    স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এই যৌন সংখ্যালঘু মহিলাদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রাখতে হবে সমস্ত দেশের সরকারকেই। মন্তব্য গবেষকদের।

    যৌন পরিচয় নির্বিশেষে রোগ নির্ধারণ করা।মাদক, মদ এবং অন্যান্য নেশা থেকে হওয়া রোগের পর্যাপ্ত চিকিৎসা।যৌন সংখ্যালঘু মানুষদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক প্রয়োজনীয়।
  • Link to this news (এই সময়)