অরূপ লাহা: ‘এত চোর, ডাকাত, গুণ্ডা, বদমাস; তাদের তাড়াবার দায়িত্ব কাউকে নিতে হবে, আমি নিয়েছি। তাই লোকে আমাকে ভরসা করে লাঠি দিচ্ছে, গদা দিচ্ছে, ত্রিশুল দিচ্ছে। আসলে ওটা আমার হাতে ভালো শোভা পায়। সেজন্য মাঝে মাঝে কেউ ওটা দেয়। বাকিদের হাতেতো বাণ্ডিল দেয়’, এমনই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। সোমবার সকালে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ প্রাতঃভ্রমণ ও জনসংযোগ সারেন বর্ধমান শহরের কালিবাজার এলাকায়।এখানে উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের জিটি রোডের ধারে কার্জন গেটের পাশে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত ৭ নম্বর নগর মণ্ডল কমিটির নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে একজন বিজেপি কর্মী দিলীপ ঘোষের হাতে লাঠি তুলে দেন।
সপ্তাহ খানেক আগে দিলীপ ঘোষের জন্মদিনে একজন বিজেপি কর্মী তাঁকে একটি কলম দিলে, সেদিন তিনি বলেছিলেন কলম নয় একটি লাঠি দিলে ভালো হত।তারই পরিপেক্ষিতে রবিবার সন্ধ্যায় নতুন দলীয় কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষের হাতে লাঠি তুলে দেওয়া হয়। তবে লাঠি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এই লাঠি যেন ব্যবহার না করতে হয়’।অন্যদিকে সোমবার এসএসসি মামলার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘টিএমসি চুরি করবে, লুঠ করবে আবার কোর্টে গিয়ে থাপ্পর খাবে’।
মুর্শিদাবাদে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেমন ভারত থেকে বাংলাকে আলাদা করার চেষ্টা হচ্ছে, তেমন বাংলা থেকে মুর্শিদাবাদকে আলাদা করার চেষ্টা হচ্ছে। ওখানে টিএমসি মুক্তাঞ্চল করে রেখেছে গুণ্ডা ও টেরোরিস্টদের। যত বোম, বারুদ, বিস্ফোরক মজুদ হচ্ছে তেমনি বিস্ফোরণও হচ্ছে। বাংলার বদনাম হচ্ছে। এর জন্য দায়ী টিএমসি’।
অন্যদিকে হাসনাবাদের বিস্ফোরণকাণ্ডে বিজেপি নেতার ভাইকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘হয়তো আমাকেও কোনও দিন পুলিস গ্রেফতার করতে পারে। তৃণমূল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে আর বেছে বেছে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করছে পুলিস’।রবিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের নবগ্রামের বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সিবিআই ও ইডি-র ভয়ে তৃণমূল নেতারা বাড়িতে আর বিস্ফোরক রাখছে না। কারণ সিবিআই, ইডি মাটি খুঁড়ে সব বার করে দিচ্ছে। এর আগে দেখেছি বীরভূমে টিএমসি নেতার বাড়িতে, টয়লেটে বিস্ফোরক মজুত ছিল। এখন তারা সরকারি বিল্ডিংয়ের পাশে মজুত করছে’।