এই সময়: ট্রেন অ্যাম্বুল্যান্স! না, এখনও তেমন কিছু আত্মপ্রকাশ করেনি। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠিয়ে ট্রেনের ক’টি আসনকেই প্রায় অ্যাম্বুল্যান্সের রূপ দিয়ে রোগীকে কলকাতায় নিয়ে এল শহরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতাল। অভিনব উপায়ে মহানগর থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে বালুরঘাটের ওই সঙ্কটজনক রোগীকে ট্রেনে জীবনদায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভর্তি নিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তোলে হাওড়ার নারায়ণা সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতাল।বালুরঘাটের বাসিন্দা, ৬৩ বছরের সৌমেন সেন (নাম পরিবর্তিত) হঠাৎ বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের শিকার হন। স্থানীয় চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। এ জন্য জরুরি জীবনদায়ী চিকিৎসা, যা তখন স্থানীয় স্তরে অমিল। এই পরিস্থিতিতে রোগীর পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয় নারায়ণা-র সঙ্গে। দূরত্বের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে একটি ডেডিকেটেড মেডিক্যাল টিম জীবনদায়ী যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিয়ে পরের দিন বালুরঘাট পৌঁছয়।
ফিরতি ট্রেনের বার্থ ও কুপকে প্রায় ছোটখাটো একটি আইসিইউ-এর চেহারা দেওয়া হয়। বেডসাইড মনিটর, ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন সাপোর্ট-সহ অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে সাজানো হয় ট্রেনের ওই কুপ। একজন দক্ষ প্যারামেডিক্যাল এবং নার্সিং স্টাফ-সহ রোগীর জন্য প্রায় একটি ‘ট্রেন অ্যাম্বুল্যান্স’-এরই ব্যবস্থা হয়। ট্রেন শিয়ালদহে ঢোকার পর সেখান থেকে নিজস্ব কার্ডিয়াক অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে।
অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফিতে দেখা যায়, একটি হৃদ্-ধমনিতে ৯০% ব্লকেজ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করে সেরে ফেলা হয় ব্লকেজ নষ্ট করার জরুরি পর্ব। হাসপাতালের ফেসিলিটি ডিরেক্টর তপানি ঘোষ জানান, আপাতত ভালো আছেন রোগী। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।