BJP-র প্রার্থীপদ ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন IPS দেবাশিস
এই সময় | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়লেন বীরভূমের ঘোষিত BJP প্রার্থী দেবাশিস ধর। প্রাক্তন এই IPS-কে নো ডিউস সার্টিফিকেট দেয়নি রাজ্য। এরপরেই তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। তৃণমূলের তিনবারের জয়ী প্রার্থী শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে বীরভূমে এবার প্রাক্তন IPS দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করেছিল BJP।এদিকে ২০১৬ সালে দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায় মোতাবেক কোনও ব্যক্তি যদি নির্বাচনে প্রার্থী হন সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি এজেন্সি থেকে তিনি যে পরিষেবা নিয়ে এসেছেন গত দশ বছরে সেই সংক্রান্ত কোনও বকেয়া নেই এই ধরনের একটি নো ডিউস সার্টিফিকেট এজেন্সি থেকে নিয়ে তাঁকে জমা দিতে হবে। যদি তিনি তা না করেন সেক্ষেত্রে তাঁর মনোনয়ন ত্রুটিপূর্ণ বলে গণ্য করা হবে। এদিকে নো ডিউস সার্টিফিকেট দেখাতে না পারায় দেবাশিসের মনোনয়নপত্র সাবস্টেন্সিয়াল নেচার, এমনটাই মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
ইতিমধ্যেই দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে BJP। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ছিল, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু, রাজ্য সরকার দেবাশিস ধরকে ছাড়পত্র দেয়নি। যদিও দেবাশিসকে শীতলকুচির ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে তোপ দাগতে ছাড়ছে না তৃণমূলও।
মনোনয়ন বাতিলের দিনই সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করতে দেখা গিয়েছিল দেবাশিস ধরকে। এরপর এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে তিনি আইনের দরজায় কড়া নাড়তে চলেছেন। দেবাশিসবাবু বলেছিলেন, ‘আমরা আদালতে আবেদন জানাব। যা সিদ্ধান্ত আদালত নেবে তা মাথা পেতে নেব।’
এদিকে IPS-এর চাকরি ছেড়ে BJP-তে যোগদান করেছিলেন তিনিষ। কোনও কারণে যদি প্রার্থী হতে না পারেন সেক্ষেত্রে দলে কোন দায়িত্ব চায়বেন তিনি? এই প্রাক্তন IPS-এর কথায়, ‘আমি প্রশাসনিক কাজ করতাম। দলের মধ্যে সেই ধরনের কোনও কাজ করতে চাই।
উল্লেখ্য, দেবাশিস ধরের বদলে বিকল্প প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বীরভূমে। ইতিমধ্যেই BJP-র বিকল্প প্রার্থী প্রচারও শুরু করেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছেন দেবাশিস ধরকে। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। আর আক্ষেপ প্রকাশ করার পর তাঁর মন্তব্য, এভাবে নাম ঘোষণার পরও প্রার্থী হতে পারলেন না। খারাপ লাগছে। এরপরেই শতাব্দীর সংযোজন, এটা কিছুটা লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার মতো। এখন দেখার দেবাশিসের আবেদনের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট।