বীরভূমের BJP প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার আঁচ পেয়েই আগেভাগে সেখানে বিকল্প প্রার্থী দিয়েছিল দল। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকেই বীরভূমে জয় পেয়ে এসেছেন শতাব্দী রায়। এবারও তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এদিকে তাঁর বিপরীতে এই লোকসভা নির্বাচনে BJP প্রার্থী করেছিল প্রাক্তন IPS দেবাশিস ধরকে। কিন্তু, তাঁর মনোনয়ন বাতিলের আগেই দেওয়া হয়েছিল বিকল্প প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। প্রচারে বেরিয়েই দেবতনু হুংকার দিয়েছিলেন, 'BJP-র হয়ে কলাগাছ দাঁড়ালেও জিতবে।'তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানো দেবতনুর সম্পত্তির পরিমাণ কত? নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মোতাবেক হলফনামা জমা দিয়েছেন দেবতনু। সেখানে কোনও আয় দেখানো নেই তাঁর। স্ত্রীর ক্ষেত্রেও একই বিষয়। তবে হলফনামা মোতাবেক তাঁর হাতে রয়েছে ৪০ হাজার টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর হাতে রয়েছে পাঁচ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ
দেবতনুর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৭.০৪ এবং তাঁর স্ত্রীর ক্ষেত্রে অঙ্কটা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৩.৪৩। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি করেন তিনি। তাঁর একটি বাইক রয়েছে যার মূল্য ৫০ হাজার।
তবে বীরভূমে শেষমেশ BJP-র প্রার্থী কে হবেন তাই এখন দেখার। একদিকে যখন প্রচারের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেবতনু, সেই সময় আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছেন দেবাশিস। রাজ্য 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট দিচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর আইনজীবীকে মেল করতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
স্বাভাবিকভাবেই আদালতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে সব মহল। উল্লেখ্য দেবাশিস ধর IPS হিসেবে ইস্তফা দিয়েছিলেন এবং যোগদান করেছিলেন BJP-তে। এরপর তাঁকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেছিলেন, ‘ভাবতে খারাপ লাগছে। একটা মানুষ ভোটে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন। প্রচারও করছিলেন। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে এই রকম ঘটনা। লগ্নভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো বিষয়।’ সবমিলিয়ে ফোকাসে এখন বীরভূম। আদালত দেবাশিস ধরের আবেদনের প্রেক্ষিতে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেই দিকে সব নজর। উল্লেখ্য, ১৩ মে চতুর্থ দফায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।