• স্ত্রীকে জয় উৎসর্গ সামাদের, কলকাতার সমর্থকদের দেশের সেরার অ্যাখ্যা দিলেন কামিন্স...
    আজকাল | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: ৬২ হাজার সমর্থকে ঠাসা যুবভারতী। পাগলপারা পরিবেশ। এ শুধু কলকাতাতেই সম্ভব। ডার্বিতে সাধারণত এইধরনের পরিবেশ দেখা যায়।‌ কিন্তু পর পর দু"ম্যাচে! তাও প্রতিপক্ষ যখন মুম্বই সিটি এফসি এবং ওড়িশা এফসি! সত্যিই ভারতীয় ফুটবলকে বাঁচিতে রেখেছে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল। রবিবার ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর স্টেডিয়ামের পরিবেশ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। যা দেখে উত্তেজিত বিদেশীরাও। কলকাতার দর্শকদের দেশের সেরা বললেন জেসন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপে খেলেছেন। বিভিন্ন দেশে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু কলকাতার দর্শক তাঁর মন ছুঁয়ে গিয়েছে। কামিন্স বলেন, "অসাধারণ পরিবেশ। এক কথায় বলে প্রকাশ করা যাবে না। পরপর দু"ম্যাচে এরকম দর্শক ভরা ঠাসা স্টেডিয়াম। অবিশ্বাস্য। সমর্থকদের এই উন্মাদনা, আবেগ সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কলকাতার দর্শকরা দেশের সেরা দর্শক। এত জায়গায় খেলেছি, কিন্তু এরকম দর্শক দেখিনি।" ফাইনাল কলকাতায়। দর্শকদের জন্যই যে কিছুটা এগিয়ে থেকে নামবে মোহনবাগান সেটা স্বীকার করতে দ্বিধা করলেন না অজি বিশ্বকাপার।‌ কামিন্স বলেন, "কলকাতায় ফাইনাল অবশ্যই আমাদের কাছে একটা অ্যাডভান্টেজ। এত সমর্থকের সামনে খেললে নিজেদের সেরা খেলাটা স্বাভাবিকভাবেই বেরিয়ে আসে। ট্রিপল জেতার জন্য আমরা মরিয়া।" নিজের স্ত্রীকে জয়সূচক গোল এবং জয় উৎসর্গ করেন "সুপার সাব" আব্দুল সামাদ। চোটের জন্য বেশ কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেননি। হতাশার দিনে সবসময় পাশে পেয়েছেন স্ত্রীকে। সামাদ বলেন, "আমি এই জয় আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করছি। মাঝে বেশ কিছুদিন চোটের জন্য আমি মাঠের বাইরে ছিলাম। সেই কঠিন সময় আমার স্ত্রী সর্বত্র আমার পাশে থেকেছে, আমাকে ভরসা জুগিয়েছে। সেই জন্য আমি ওর কাছে কৃতজ্ঞ।" মাঠে ফিরেই গোল। কামব্যাক গোল যে বাকি গোলের থেকে আলাদা সেটা মেনে নিলেন। সামাদ বলেন, "আমার গোলে দল জিতেছে বলে আরও ভাল লাগছে। অবশ্যই কামব্যাক গোল স্পেশাল।" সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান দিমিত্রি পেত্রাতোস। ফ্যানদের দলের "দ্বাদশ ব্যক্তি"র অ্যাখ্যা দেন। ম্যাচের শেষে আহমেদ জাহুর সঙ্গে বাগান ফুটবলারদের মাঠেই বচসা বাঁধে। শুভাশিস জানান, ম্যাচের পর ওড়িশার ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তেড়ে আসেন জাহু। 
  • Link to this news (আজকাল)