• বাইরনের সভাতে গেলেও জাকিরের সভায় অনুপস্থিত মন্ত্রী, ফের দুই বিধায়কের ঠান্ডা লড়াই প্রকাশ্যে ...
    আজকাল | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাগরদিঘি এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের দুই বিধায়ক যথাক্রমে বাইরন বিশ্বাস এবং জাকির হোসেনের "ঠান্ডা লড়াই" ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল। রবিবার বিকেলে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের বাহালনগর এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জরুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু"টি ছোট জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে দুটি সভাতেই প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার। রাজ্যের মন্ত্রী সাগরদিঘির জনসভাতে উপস্থিত থাকলেও জঙ্গিপুরের সভাতে উপস্থিত ছিলেন না। এরপরই জাকির গোষ্ঠী অভিযোগ করেছে, রবিবার সাগরদিঘিতে সময়মতো শশী পাঁজা পৌঁছে গেলেও "ইচ্ছাকৃতভাবে" সেখানে তাঁর কর্মসূচি দেরিতে শুরু করা হয়। অন্যদিকে জঙ্গিপুরের সভাতে তৃণমূল কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ মন্ত্রীকে শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকার পরও তিনি না আসায় সকলে ফিরে যান। যদিও বাইরন গোষ্ঠীর অভিযোগ, জরুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনসভাতে পর্যাপ্ত জনসমাগম না হওয়ার খবর পেয়েই সম্ভবত সেখানে যাননি রাজ্যের মন্ত্রী। যদিও প্রকাশ্যে কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাইরন জাকিরের নাম না করে অভিযোগ করেছিলেন, জঙ্গিপুরের বিধায়ক সাগরদিঘিতে দলের সাংগঠনিক কাজকর্মে নাক গলাচ্ছেন। এমনকী তিনি "চাপিয়ে দেওয়া" নির্বাচনী কমিটিও মানতেও অস্বীকার করেছিলেন। জরুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইয়াকুব আলি বলেন, "রাজ্যের মন্ত্রী বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমাদের সভাতে বক্তব্য রাখতে আসবেন বলে জানানো হয়েছিল। সেই মতো বিকেল সাড়ে তিনটে থেকেই লোকজন জমায়েত হতে শুরু করে। কিন্তু সন্ধে ছ"টা বেজে গেলেও মন্ত্রী উপস্থিত হননি। তার কারণ আমার জানা নেই। তবে আমাদের বিধানসভা এলাকাতে জাকির হোসেনই শেষ কথা। কে এল আর কে এল না সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।" অন্যদিকে সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নুরে মেহেবুব আলম বলেন, বন্যেশ্বর, মোড়গ্রাম, বোখরা-১ এবং বোখরা-২ এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মী সমর্থকদেরকে নিয়ে বাহালনগরে মোটামুটি সঠিক সময়েই মন্ত্রীর সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে তিনি অন্যত্র কেন যাননি সেটা আমাদের জানা নেই।" মেহেবুব বলেন, "আমাদের সভাতে প্রায় তিন হাজার মানুষের জনসমাগম হয়েছিল।" অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী সাগরদিঘির বিধায়কের জনসভাতে উপস্থিত থাকলেও জঙ্গিপুরের বিধায়কের জনসভা কেন এড়িয়ে গেছেন তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিকাশ নন্দ। তিনি বলেন, "গোটা বিষয়টি আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আমার জানা নেই ঠিক কী হয়েছিল।"
  • Link to this news (আজকাল)