• বড়বাজারে আগুন দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তাপস, 'ভউ ভউ,' কটাক্ষ ফিরহাদের
    Aajtak | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • বড়বাজারের গুদামে আগুন। আর তাই নিয়ে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত। তৃণমূল কাউন্সিলরের তীব্র সমালোচনা করলেন তাপস রায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়লেন বিক্ষোভের মুখেও। এদিকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, 'কেউ যখন নতুনভাবে ওইদিকে যায়, সে বেশি ভউ-ভউ করে'।

    সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বড়বাজারের গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। নাখোদা মসজিদ সংলগ্ন এই গুদাম। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়াকে আগুন নেভাতে বেশ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় দমকলকর্মীদের। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের ২টি বাড়িতেও। প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    ঘটনাস্থলে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া তাপস রায়ও। সেখানে পৌঁছাতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তাপস রায়ের সামনেই তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের দিকে জল ছুড়ে দেন তৃণমূল কাউন্সিলর। 

    এদিকে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতের পর ক্ষোভ উগড়ে তাপস রায়। কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

    তাপস রায় এদিন তৃণমূল কাউন্সিলরের উদাসীনতার কারণেই বারবার আগুন লাগছে বলে অভিযোগ তোলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'আগের বিজেপি কাউন্সিলরের পর, গত ২ বছর কাউন্সিলরটা কে? গত ২ বছর তো বিজেপির কাউন্সিলর নয়। কী করছিলেন তিনি ২ বছর ধরে?'

    এরপর আরও বলেন, 'ওরা বুঝতে পারছে ওদের পরিণতিটা কী, ভবিষ্যতটা কী। এরা তো সব ছোটখাটো কাউন্সিলর। উপরতলা পর্যন্ত এই একই অবস্থা।'

    এদিকে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহেশ শর্মার দাবি, 'এটা সিপিএম, বিজেপি বোর্ডেও হয়েছে... এখনই হল না। আমার ওয়ার্ডের মধ্যে কত আগুন লেগেছে। ২ ঘণ্টার মধ্যে পুরো আগুন কনট্রোল হয়ে গিয়েছে।'

    অন্যদিকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'প্রবলেম হচ্ছে যে, ইলেকশনে নতুন নতুন দাঁড়ানোর পরে, কেউ যখন নতুনভাবে ওইদিকে যায়, সে বেশি ভউ-ভউ করে। এখন তাপসদার সমস্যা হয়েছে যে, একবার রেড হওয়ার পরে ভয় পেয়ে গিয়ে ওদিকে গিয়েছে। এখন ওরা যদি এবার রেগে যায়, তাহলে যাবে কোথায়। সে ভয় উনি করছেন, ঠিকই আছে। আমরা আমাদের কাজ করব, ওকে যা বলার বলব। ওভারনাইট বিপ্লব করা যাবে না। আমাদের প্রসেস মেনে করতে হবে।'

    ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মানুষের রোজগার একটা বড় জিনিস। আজ নয়, বহু বছর ধরে চলছে। আমরাও ছোট থেকে দেখছি। সুতরাং এটা পরিকল্পনা করে পরে দেখা যাবে।'

    সুজিত বসু বলেন, 'ঘিঞ্জি এলাকায় গোডাউন এরকম কলকাতা শহরে বহু আছে। তবু আমরা এগুলো অনেক কিছুই লক্ষ্য করছি এবং দেখছি। দেখছি না তা নয়। আগুন খুব দ্রুত কনট্রোল হয়েছে।'

    কিন্তু দমকলের নজরদারি সত্ত্বেও বারবার এমনটা কেন হচ্ছে? এই নিয়ে তিনি বলেন, 'ফায়ার অডিট হয়। দেখি আমরা। কিন্তু অনেক সময়ে এমন হয় যে গোডাউনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আছে। কোনও ব্যবস্থা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। আপাতত আগুন নেভানোই আমাদের প্রাথমিক কাজ।'
  • Link to this news (Aajtak)