Calcutta High Court News : বর্ধমানে অপহরণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা, ভাতারের বিধায়ককে মামলায় জোড়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
এই সময় | ২৯ এপ্রিল ২০২৪
বর্ধমানের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অপহরণ কাণ্ডে পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের। এই মামলায় ভাতারের বিধায়ককে যুক্ত করার নির্দেশ। এই মামলায় অভিযুক্তরা কী করে একদিনের মধ্যে জামিন পেয়ে যায়, প্রশ্ন তোলে আদালত।ভাতারের কদমতলা এলাকার বাসিন্দা ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও তাঁর বন্ধু মঙ্গলকোট থানার কাশেমনগরে গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন। মুরাতিপুর মোড়ের কাছে ৭-৮ জন গাড়িটিকে আটকায়। দু’জন জোর করে গাড়ির মধ্যে উঠে পড়ে। জানা গিয়েছে, চালক হীরাকে অপহরণকারীরা গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এক অপহরণকারী গাড়িটিকে চালিয়ে ভাতার থানার এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে ম্যানেজার ও তাঁর বন্ধুকে মারধর করে অপহরণকারীরা। ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। শেষমেশ ৪ লাখ টাকা রফা হয়।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অপহরণ করে মোটা টাকা মুক্তিপণ নেওয়ার ঘটনার পরেও থানা অভিযোগ নেয়নি। এমনকি ভাতারের বিধায়ক বিষয়টি আপসে মীমাংসার জন্য চাপ দেন বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ এফআইআর নিলেও চারজনই পরের দিন জামিন পায়। সেই জামিন খারিজের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
বিচারপতির প্রশ্ন, অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনার ধারা কেন যুক্ত করা হয়নি? কী করে একদিন এই জামিন পায় অভিযুক্তরা? তাদের চিহ্নিত করার জন্য কেন ব্যবস্থা করেনি পুলিশ? রাজ্যের বক্তব্য, এটা একটা রাজনৈতিক গোলমাল। উনি বিধায়কের সঙ্গে ব্যক্তিগত গোলমাল থেকে অপহরণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন? ওনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের।
এই ঘটনায় পরে মহিলা যোগের অভিযোগ ওঠে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কল্যাণপুরের এক মহিলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মহিলার কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডইয়ো ম্যানেজারের কাছে রয়েছে বলে দাবি। তা নিয়ে মহিলাকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ব্ল্যাকমেল করছিল দীর্ঘদিন ধরে। তা থেকে বাঁচতে মহিলা তাঁর এক পরিচিতকে বিষয়টি জানায়। তারপরই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে অপহরণ করে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানতে চান, অপহরনের ঘটনার পরে সহবাসের অভিযোগ দায়ের হলো! আগে নয় কেন? হাইকোর্টের নির্দেশ বিধায়ককে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডায়রি হাজির করতে হবে। এতদিন পর ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অপহরণ কাণ্ড ফের আরেক দিকে মোড় নিল।