পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে মাকে বলেছিলেন 'খুব টেনশন হচ্ছে মা', পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে বাবাকে ফোন করে বলেন 'পরীক্ষা ভালো হয়নি'। তারপরই সব শেষ! হুগলির বাসিন্দা দুর্গাপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তুলল পরিবার।ব্যান্ডেল দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জোড়াঅশ্বত্থতলার বাসিন্দা অর্পণ ঘোষ। এই কলেজ পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে দুর্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর এনআইআইটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন বছর কুড়ির অর্পণ ঘোষ। দুর্গাপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পরীক্ষা চলছিল। প্রথম পরীক্ষার পর অর্পণ নিজের হোস্টেলে ফিরে যান। সেখানেই সহপাঠীরা হোস্টেলে ঢুকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর আসে ব্যান্ডেল দেবানন্দপুরের অর্পনের বাড়িতে। অর্পনের বাবা অলোক ঘোষ পেশায় শিক্ষক। জানা গিয়েছে, যথেষ্ট মেধাবি ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অর্পণ। এই ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকাজুড়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের সকলেই দুর্গাপুরে যান। আজ বাড়ি ফিরে ছাত্রের মা পলি ঘোষ বলেন,'পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে সারে আটটা নাগাদ ফোনে কথা হল ছেলের সঙ্গে। বলল মা টেনশন হচ্ছে। আমি বললাম টেনশন করিস না। পরীক্ষা দিয়ে বাবাকে ফোন করে বলেছিল, পরীক্ষা ভালো হয়নি। বাবা ছেলেকে বলে, ঠিক আছে পরের পরীক্ষাটা ভালো করে দাও। এর এক ঘন্টা পর এই ঘটনা।'
এদিকে অর্পণের সহপাঠীদের থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সকালে পরীক্ষা ছিল অর্পণের। ভুলবশত অ্যাডমিট কার্ড না নিয়েই পরীক্ষা দিতে যান তিনি। তাই তাঁর পরীক্ষা বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর হস্টেলে ফিরে আসেন তিনি। সেই সময় হস্টেলে কেউ ছিলেন না। কিছু সময় পর অর্পণের সহপাঠীরা যখন হস্টেলে ফেরেন, তখন তাঁরা ঝুলন্ত অবস্থায় অপর্ণকে দেখতে পান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় থানাতেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। অর্পণকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।