জামার বুকের মধ্যে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সাঁটানো। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে নতুন অধ্যায় শুরুর দিন তাঁকে সমর্থন করার জন্য উপস্থিত ছিলেন স্বামী প্রবাল বসু। তিনি দীপ্ত কণ্ঠে রচনার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘ও বারবার আত্মনির্ভর। যে কাজ করেছে তাতেই সাফল্য পেয়েছে। আগামীতেও পাবে বলে আশা করছি।’সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। এদিন হুগলি জেলাশাসকের কাছে মনোনয়ন জমা দেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে ঢাক , বাজনা, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ও বাদ্যযন্ত্র সহকারে হুড খোলা গাড়িতে চড়ে খাদিনামোড় পর্যন্ত শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন তৃণমূল প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন স্বামী প্রবাল বসু, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, অসিত মজুমদার। জেলাশাসক মুক্তা আর্যর কাছে মনোনয়ন জমা দেন রচনা। এদিন তাঁর মনোনয়নে ছিল অভিনব চমক। স্বামী ও বাল্যকালের বন্ধুদের নিয়ে বিশেষ পোশাকে মনোনয়ন জমা করেন তারকা প্রার্থী। কলকাতা থেকে কুড়িজন বন্ধু আসেন রচনার সমর্থনে। তাঁদের পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি। আর তাতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের জোড়াফুল আঁকা ছবি।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর বেরিয়ে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রচনা বলেন, 'জীবনে প্রথম মনোনয়ন জমা দিলাম। প্রচন্ড উচ্ছসিত। আমার আরও বেশি ভালো লাগছে আমার সঙ্গে ছোটবেলার বন্ধুরা এসেছে। আমার বন্ধুরাই আমার কাছে বাড়তি অক্সিজেন। তারা আমার ছবি আঁকা পোশাক পরে এসেছেন। তা আমার কাছেও সারপ্রাইজ উপহার।
রচনার স্বামী প্রবাল বসু বলেন, 'ও এমনিতেই একজন সাফল্য ব্যক্তিত্ব। যে পেশাতেই গিয়েছে বা যে কাজই করেছে তাতেই সাফল্য পেয়েছে। তাই এত বছর যখন সাফল্য পেয়ে এসেছে তখন এখানেও সাফল্য পাবে।’
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। তিনি একদিকে যেমন জনপ্রিয় টিভি রিয়্যালিটি শোয়ের হোস্ট তেমনই তিনি সফল শাড়ির ব্যবসায়ীও বটে। তিনি প্রচারে যখন ব্যস্ত কে সামলাচ্ছেন ছেলে এবং ব্যবসা?
রচনা আগেই এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, আপাতত তিনি রাজনীতিতে মন দিতে চান। ব্যবসা স্বামী দেখছেন। এবার রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামীকে দেখা গেল নায়িকার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষী হতে। এদিন উপস্থিত ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক বন্ধুরা।