‘এক সপ্তাহের মধ্যে প্রমাণ দেব’, BJP-র বিরুদ্ধে বড় দাবি অভিষেকের
এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
বাংলার আইন-শৃঙ্খলা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। একদিকে, দু’দিন আগেই সন্দেশখালিতে অস্ত্র ভাণ্ডার পাওয়া, অন্যদিকে, এক ধাক্কায় ২৬ হাজার জনের চাকরি চলে যাওয়া। ভোটের মুখে জোড়া ফলায় রাজ্য সরকারকে বিঁধছে বিরোধী দলগুলি। তবে, ‘পরিকল্পনামাফিক’ বাংলার দুর্নাম করার চেষ্টা হচ্ছে মিডিয়ার একাংশের সহায়তায়, এবার এরকমটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রথম দফার আগেই বিজেপি এক নেতার সঙ্গে NIA-র এসপির পৃথক বৈঠকের অভিযোগ তুলে ধরে কিছু তথ্য প্রমা তুলে ধরেছিলেন তিনি। এবার বাংলার দুর্নাম করতে মিডিয়ার একাংশকে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি ‘ষড়যন্ত্র’ চালাচ্ছে বলে দাবি করলেন অভিষেক। এই বিষয়ে শীঘ্রই বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ তিনি জনসমক্ষে আনবেন বলেও দাবি করলেন।
সোমবার হাওড়া কেন্দ্রের প্রার্থীর প্রচারের জন্য একটি রোড শো করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই অভিষেক বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করব, সঠিক সময়ে, কীভাবে মিডিয়ার একটি নির্দিষ্ট অংশ, বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি বাংলাকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র করছে।’ লাগাতার এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে তাঁর মত।
তবে, এখানেই শেষ নয়, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বেশ কিছু প্রমাণও তিনি জনসমক্ষে তুলে ধরবেন বলে জানান। অভিষেক বলেন, ‘আমি তথ্য বা প্রমাণ ছাড়া কথা বলি না। আমি অপ্রয়োজনীয় প্রচার করি না বা 'বোমা ফেলার' ভিত্তিহীন মন্তব্য করি না।’ বাংলাকে কলুষিত করার অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ‘আমি এই মাটির সন্তান, বাংলার অপমান করতে দেব না! এক ছটাক জমি ছাড়বো না।’
লোকসভা নির্বাচনের সবেমাত্র দুটি পর্ব শেষ হয়েছে। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে নির্বাচনী প্রব চলার কারণে রাজ্যে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনাপ্রবাহ প্রভাব ফেলছে মানুষের মনে। প্রত্যেকে দফা ভোটের আগেই একের পর এক ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বাদানুবাদ চলছে শাসক-বিরোধীর মধ্যে। সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মননে ছাপ ফেলতে ভোটার মুখেই উদ্ধত হয়েছে প্রত্যেকে রাজনৈতৰ্ক দল। তবে, এবার বিজেপির বিরুদ্ধে বড় দাবি করলেন অভিষেক। সেক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কোনও যোগসাজশ আছে কিনা, গোপনে কোনও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কিনা, এই বিষয়ে কোনও তথ্য তুলে ধরতে পারেন তিনি। এখন তিনি কী তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরবেন, সেটি রাজ্যে সাড়া ফেলে দেবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।