বিক্রম দাস: টোটোচালক আবু তালেবের কাছে কীভাবে ৪০ লক্ষ টাকার বিদেশি অস্ত্র এল সেটাই এখন ভাবাচ্ছে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের। শেখ শাহাজানের ৫৫ দিন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আবু তালেবকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। এদিন বাড়িতে সিবিআই অফিসাররা যখন পৌঁছন তখন সেখানে ছিলেন তার স্ত্রী তাসমিনা বিবি ও পরিবারের আরও এক সদস্য। তাদের জেরা করেই ঘরে ঢুকে মেঝে খুঁড়তে শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। পরে আটক করা হয় তাসমিনাকে।
এখন প্রশ্ন, এই আবু তালেব মোল্লা কে? বছর ৪০-এর আবু তালেব সন্দেশখালির তৃণমূল কর্মী। রাজবাড়ি থেকে সরবেড়িয়া পর্যন্ত টোটো চালাতেন তিনি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই আবু তালেব। বিবাহ সূত্রে পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয় তিনি। কয়েক বছর আগে পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুলের বোনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আবু তালেবের। মল্লিক পাড়ার বাসিন্দা তাসমিনা বিবির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। গত পাঁচ বছর ধরে মল্লিক পাড়ার শ্বশুরবাড়িই হয়ে উঠেছিল তার স্থায়ী ঠিকানা। টোটো চালানোর পাশাপাশি শাহজাহানের মাছের ভেড়ির দেখাশোনাও করত আবু।
এলাকাবাসীর তাঁকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন সভা ও কর্মসূচিতে তোলা শেখ শাহজাহানের ছবি পাশাপাশিই দেখা যেত আবু তালেব মোল্লাকে। শাহজাহানের ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত ছিল সে। শেখ শাহজাহানের ভেড়ির কাজ দেখাশুনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শেখ শাহাজানের গ্রেফতারির পর থেকেই আবু তালেবকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। শাহজাহানের হয়ে জমি-পুকুর দখলেরও কাজ করত। প্রসঙ্গত, এদিন ঘরে ঢুকে মেঝে থেকে বেশকিছু বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। বিস্ফোরকের সন্ধানে এনএসজিকে খবর দেওয়া হয়। তারপর অত্যাধুনিক রোবটকে কাজে লাগিয়ে মজুদ করা বিস্ফোরক খোঁজ চালানো হয়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর সেই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।