একপেশে ম্যাচে হাফ ডজন জয় নাইটদের, সৌরভকে খালি হাতে ফেরাল ইডেন...
আজকাল | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: পঁচা শামুকে পা কাটার পর দাপুটে প্রত্যাবর্তন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সোমবার ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটলসকে ৭ উইকেটে হারাল নাইটরা। সৌরভের মাঠে দাদাগিরি গম্ভীরের। দিল্লির ছেলের কাছে জঘন্য হার "লোকাল বয়"এর। পুরোপুরি একপেশে ম্যাচ। আগাগোড়াই দাপট ছিল নাইটদের। ইডেনে ছয় ম্যাচের মধ্যে কেকেআরের সবচেয়ে সহজ জয়। কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি দিল্লি। মাথায় তিলক কেটে, উদ্বিগ্ন মুখ নিয়ে পুরো সময়টা ডাগআউটে কাটান সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু হতাশা ছাড়া কিছু জোটেনি। শুরুতেই গলদ। পিচ রিডিংয়ে ভুল দিল্লির। তারজন্য কি কিছুটা দায়ী করা যেতে পারে দিল্লির মেন্টরকে? ইডেনের পিচ চিনতে কী করে ভুল করলেন সৌরভ! টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তই ডুবিয়ে দেয় দিল্লিকে। মন্থর উইকেটে আত্মসমর্পণ দিল্লির ব্যাটারদের। পাঞ্জাবের কাছে হারের পর জয়ে ফিরল কেকেআর। হাফ ডজন জয়। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দু"নম্বরে নাইটরা। ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে ২১ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেয় শ্রেয়স আইয়াররা। ২৩ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন কেকেআরের অধিনায়ক। ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ২৩ বলে ২৬ রানে অপরাজিত নাইটদের বাঁ হাতি ব্যাটার। তবে আসল কাজটা সারেন ফিল সল্ট। ৩৩ বলে ৬৮ রান করে জয় নিশ্চিত করেন কেকেআরের ওপেনার। ইনিংসে ছিল ৫টি ছয়, ৭টি চার। তবে শুরুতে লিজার্ড উইলিয়ামস তাঁর ক্যাচ না ফেললে আগেই ফিরে যেতে পারতেন নাইটদের ওপেনার। বলা যায় না তাহলে হয়তো ম্যাচের মোড়ও ঘুরে যেতে পারত। এদিন রান পাননি সুনীল নারিন। ১৫ রানে ফেরেন। সুযোগ ছিল রিঙ্কু সিংয়ের সামনে। এই প্রথম বেগুনি জার্সিতে তিন নম্বরে নামানো হয় তাঁকে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। ১১ রানে আউট হন। এরপর কি টি-২০ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়া আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল? প্রথমে ব্যাট করে ডাহা ব্যর্থ হয় দিল্লি। সবচেয়ে ছন্দে থাকা দলের দুই ব্যাটার জেক ফ্রেজার ম্যাক গুর্ক (১২) এবং ট্রিস্টান স্টাবস (৪) রান পাননি। তাতেই এই দুরবস্থা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ঋষভ পন্থও ব্যর্থ। ২০ বলে ২৭ রান করে ফেরেন। সর্বোচ্চ রান কুলদীপ যাদবের (৩৫)। ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা বরুণ। জোড়া উইকেট বৈভব অরোরা এবং হরষিত রানা।ছবি: অভিষেক চক্রবর্তী