সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: তাঁর ঘরের মাঠ। এই ইডেনই তাঁকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছে। গ্যালারিতে মুখোশের ছড়াছড়ি। ভাবা হয়েছিল সোম সন্ধেয় বিভক্ত হয়ে যাবে ক্রিকেটের নন্দনকানন। তারওপর যখন দুই প্রান্তে সৌরভ গাঙ্গুলি এবং শাহরুখ খান। যাদের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজ দু'জন দু'মেরুতে। তবে ইডেন আনুগত্য দেখাল কিং খানকে। ছিটেফোঁটা আবেগও জুটল না সৌরভের কপালে। তবে "দাদা"র দলের ম্যাচ উপলক্ষে বিশেষ লেজার শো রাখা হয়েছিল। ইনিংস ব্রেকে কয়েক মিনিটের লেজার শো ইডেনকে আরও মায়াবী করে তোলে। আগের দিন পাঞ্জাবের কাছে হারের পর মাঠে নামেননি শাহরুখ। তবে দুঃখ, রাগ অভিমান ভুলে রবিবার নাইটদের প্র্যাকটিসের সময় ছোট ছেলে আব্রামকে নিয়ে নেমে পড়েন মাঠে। ক্রিকেটও খেলেন। এদিন পাওয়ার প্লের একটু পরে মাঠে প্রবেশ করেন শাহরুখ। সেই চেনা ছবি। বেগুনি টি শার্ট, মাথায় পনি টেল এবং চোখে কালো চশমা। তবে এদিন হতাশ হতে হয়নি। নাইটদের বোলিং বেশ উপভোগ করেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিনের ম্যাচের চরিত্র আলাদা ছিল। এবার ইডেনের বাকি ম্যাচে ভুরি ভুরি রান উঠেছে। আগের দিন ২৬১ রান করেও হারতে হয়েছে কেকেআরকে। এদিন অবশ্য অন্য পিচে খেলা হয়। তুলনায় অনেক মন্থর ছিল উইকেট। তবে কেন টসে জিতে ঋষভ পন্থ ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন বোধগম্য হয়নি। কারণ চলতি আইপিএলে সাধারণত টসে জিতলে বেশিরভাগ দলই ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। দিল্লির বিরুদ্ধে দলে ফেরেন মিচেল স্টার্ক। ফিরেই বিপজ্জনক জেক ফ্রেজার ম্যাক গুর্ককে (১২) ফিরিয়ে দেন অজি তারকা। দিল্লির টপ অর্ডার পুরো ফ্লপ। রান পাননি পৃথ্বী শ (১৩), অভিষেক পোড়েলও (১৮)। ৬ রানে আউট হন সাই হোপ। শুরুটা ভাল করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ঋষভ পন্থ। ১৮ রানে তাঁর ক্যাচ ফেলেন হরষিত রানা। কিন্তু তার ফায়দা তুলতে পারেননি দিল্লির অধিনায়ক। ২০ বলে ২৭ রান করে আউট হন। আগের দিন রান পাওয়া অক্ষরও (১৫) ব্যর্থ। দলের আরও এক ভয়ঙ্কর ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবসও মাত্র ৪ রানে ফেরেন। উইকেট থেকে সাহায্য পান বরুণ চক্রবর্তী। ১৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন। ১১১ রানে ৮ উইকেট হারায় দিল্লি। তখনও পাঁচ ওভারের বেশি বাকি। মনে হয়েছিল নির্ধারিত ওভারের আগেই অলআউট হয়ে যাবে সৌরভের দল। কিন্তু দিল্লিকে ন্যূনতম লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন কুলদীপ যাদব। ২৬ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে দিল্লির রান ১৫৩।