ঠকবাজ জ্যোতিষী! মহিলা বাস্তুবিদকে ফাঁসিয়ে পকেটে ৫২ লক্ষ...
২৪ ঘন্টা | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বোরিভালির পুলিস এক স্বঘোষিত জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ ও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। এক বাস্তুশাস্ত্রবিদের ৫২ লক্ষ টাকা ও ২৩০ গ্রাম সোনা হাতানোর অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে! ওই জ্য়োতিষী বলেছিলেন যে, তিনি বাস্তুশাস্ত্রবিদের ছেলের জনম কুণ্ডলী ও জন্মছকের সমস্যা সমাধান করে দেবেন।বুধবার পুলিস অভিযোগ দায়ের করে বিষয়টি তদন্ত করছে। অভিযুক্ত জ্যোতিষী নাম বিজয় বালু যোশী। ২০১৯ সালে তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রের ইগতপুরির ঘোটিতে এক বক্তৃতায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় বাসে তাঁর সঙ্গে ৫৬ বছর বয়সী এক মহিলার প্রথম আলাপ দেখা হয়।
ওই মহিলা এফআইআর-এ বলেন যে, দুজনেরই পরিচিত এক বন্ধু জ্যোতিষীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই বন্ধুই নাকি মহিলাকে বলেন যে ২৮ বছর বয়সী ওই জ্যোতিষীর বিরল জ্ঞান এবং মানুষের মন পড়তে, তাদের ভবিষ্যতবাণী করতে ও অতীত পড়ার ক্ষমতা রয়েছে। এমনকি তিনি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যাও সমাধান করতে পারতেন।
আলাপের পরে বিজয় যোশী একাধিকবার অভিযোগকারী ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ওই মহিলার বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছেন। মহিলার ছেলেকে ওই জ্য়োতিষীর সঙ্গে এবং অন্যদের হোটেল ব্যবসায় অংশীদার হতে রাজি করতে বলেছিলেন। জ্যোতিষীর কথামত তাঁর ছেলে রাজি হয়ে হোটেল ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে।পুলিসের মতে, বিজয় যোশী অভিযোগকারীর পরিবারের কাছ থেকে ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নগদ টাকা নিয়েছিলেন। ওই জ্যোতিষী দাবি করে যে তাদের ছেলের কুষ্টিতে দোষ আছে। এবং সে ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হবে। তাদের আস্থা জেতার পরে, বিজয় অভিযোগকারীর কাছ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এক বা অন্য অজুহাতে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ।পরে, অভিযোগকারীর ছেলে বিজয় মিথ্যা কথা সবার সামনে ফাঁস করে দেয়। তিনি দিল্লির এক মহিলাকেও নিয়ে আসে যে জ্য়োতিষীক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল। পুলিস জানিয়েছে, কীভাবে ওই জ্যোতিষী দিল্লির বহু লোককে জনম কুষ্টির ভিত্তিতে তাদের সমস্যা সমাধানের অজুহাতে প্রতারণা করেছিল।
ভুক্তভোগী পরিবার প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁদের টাকা ও সোনার গয়নার ফেরতের দাবি করে। বিজয় অবশ্য পরিবারকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন যে শীঘ্রই তাদের পরিবারের দুজন লোক মারা যেতে পারে এবং তাঁর ভাইয়ের স্বামীকে মারবে। ভুক্তভোগী পরিবার যখন জানতে পারে যে অভিযুক্তরা ঋণ নেওয়ার জন্য তাঁদের সোনার গয়নাগুলি বন্ধক রেখেছে। তখনই তাঁরা পুলিসের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।বোরিভালি পুলিস বিজয় যোশী সহ আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০,৪০৬,৩৪ ধারা এবং মহারাষ্ট্র প্রতিরোধের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে মামলা করেছে।