এই সময়: সুরাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরাটে কংগ্রেস প্রার্থী নিলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর কংগ্রেসের বিকল্প প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়। এই আসনে অন্য যে আট প্রার্থী ছিলেন, তাঁরা নমিনেশন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালালকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়।লোকসভা নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ের নজির খুব বেশি নেই। তাই হাওড়া শহরে রোড-শোয়ের পর সোমবার অভিষেক বলেন, 'এরা বড় বড় ভাষণ দেয়, যে বাংলায় গণতন্ত্র নেই। দেখেছেন সুরাটে কী হয়েছে? নির্বাচন হচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি জয় লাভ করেছে। আপনি আপনার ভোট দিতে পারবেন না! এখানে তৃণমূল যদি একটা পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে, বিজেপির জ্বালা হয়।'
কংগ্রেস যদিও সুরাটের ঘটনা নিয়ে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুরাটের রেশ কাটতে না কাটতে মধ্যপ্রদেশে সোমবার কংগ্রেসে প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বাম নাটকীয় ভাবে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। পরে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের গাড়িতে এই নেতাকে দেখা যায়। তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে গেরুয়া শিবির থেকে জানানো হয়।
এই ঘটনা-র কথা উল্লেখ করে অভিষেক বলেন,'লোকসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় কোথায়? গুজরাটের সুরাটে। ডাবল ইঞ্জিন মডেল! ইন্দোরে কংগ্রেসের যে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছে, ওখানে সেই ভদ্রলোককে প্রায় অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছে। সেখানেও লড়াই হবে না। তার মানে (বিজেপি) সংবিধান আগামী দিনে পাল্টাতে চায়।' যদিও সুরাট ও ইন্দোরের ঘটনা নিয়ে অভিষেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বঙ্গ বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়নের সামনে কে 'স্পিড ব্রেকার' এই প্রশ্নও তুলেছেন অভিষেক। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। মোদীই 'স্পিড ব্রেকার' শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন। এ দিন উলুবেড়িয়ার সভায় অভিষেক বলেন, 'তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি টাকা দিচ্ছেন কিন্তু দিদি স্পিড ব্রেকার। এখন তা হলে কে স্পিড ব্রেকার? কে টাকা দিচ্ছে না? কে ভাতে মারতে চাইছে? কে চাকরি কেড়ে নিচ্ছে?'