• Patanjali Products Ban: দৃষ্টি আই ড্রপ থেকে মধুগ্রিত, নিষিদ্ধ পতঞ্জলির ১৪ পণ্য! বাতিল লাইসেন্সও
    এই সময় | ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • বাবা রামদেবের পতঞ্জলির দিব্য ফার্মেসির বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল উত্তরাখণ্ড সরকার। সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কারের পর উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছ থেকেও ধাক্কা খেল পতঞ্জলি। রাজ্য সরকারের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কোম্পানির ১৪ টি পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপণ ছড়ানোর ইস্যুতে উত্তরাখণ্ড সরকার এই সমস্ত পণ্য নিষিদ্ধ করেছে।এই ১৪ টি পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞাশ্বসারী গোল্ড- দিব্যা ফার্মেসিশ্বসারী ভাটি- ঐশ্বরিক ওষুধের দোকানব্রনকম- দিব্যা ফার্মেসিশ্বাস- ঐশ্বরিক ফার্মেসিশ্বসারী আওয়ালেহ - দিব্যা ফার্মেসিমুক্ত বটি অতিরিক্ত শক্তি- ডিভাইন ফার্মেসিলিপিডোম- দিব্যা ফার্মেসিবিপি গ্রেট- দিব্যা ফার্মেসিমধুগ্রিত- দিব্যা ফার্মেসিমধুনাশিনী ভাটি- দিব্যা ফার্মেসিলিভামৃত অ্যাডভান্স- দিব্যা ফার্মেসিলিভোগ্রিট- দিব্যা ফার্মেসিপতঞ্জলি দৃষ্টি আই ড্রপ- পতঞ্জলি আয়ুর্বেদIGrit গোল্ড- দিব্যা ফার্মেসি

    গতমাসেই বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বাবা রামদেব এবং তাঁর সংস্থা পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে তিরস্কার করেছিল। এখন এই মামলার শুনানি ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার হওয়ার কথা। আদালতের তিরস্কারের পর পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে। যেখানে বলা হয়েছিল যে তিনি সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পতঞ্জলি বলেছে যে এই ভুলের পুনরাবৃত্তি আর হবে না। গত ২২ এপ্রিল রামদেবের কোম্পানি এই ক্ষমা প্রার্থনার চিঠি প্রকাশ করেছিল।

    ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডক্টর আর ভি অশোকান সোমবার বলেছিলেন যে বাবা রামদেব যখন কোভিড-১৯ এর নিরাময়ের দাবি করেছিলেন এবং আধুনিক ওষুধকে বোকা এবং দেউলিয়া বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছিলেন। তখন তিনি সীমা অতিক্রম করেছিলেন। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট রামদেব এবং তার ওষুধ কোম্পানি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে ভর্ৎসনা করার পরে এটি আইএমএর প্রথম মন্তব্য। ৩০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও ক্ষমা চান রামদেব, কিন্তু শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রামদেবের ক্ষমাপ্রর্থনা নাকচ করা হল। কারণ ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিমা মোটেও আন্তরিক ছিল না। বিচারপতি হেমা কোহলি বলেন, ‘রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা কি খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে? যেভাবে খবরের কাগজের গোটা পাতাজুড়ে বড় বড় অক্ষরে পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়, সেরকমভাবে কী ক্ষমাপ্রার্থনার বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়েছে?’

    রামদেবের আইনজীবী জানান, মোট ৬৭টি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন যোগগুরু। তার জন্য মোট ১০ লাখ টাকাও ব্যয় হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, যত টাকাই ব্যয় হয়ে থাকুক না কেন সেটা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়। এরপরই ফের নতুন করে বিজ্ঞাপন দেয় পতঞ্জলি। সেই বিজ্ঞাপনের আকার আগের বিজ্ঞাপনের চেয়ে আকারে বড় ছিল।
  • Link to this news (এই সময়)