রাজনীতির 'অলিগলি' তাঁর চেনা। এক কথায় রাজনীতির 'পালস' বোঝেন তিনি। কে ক্ষমতায় আসতে পারে আর কে নয়, কার আসন বাড়তে পারে, কার কমতে পারে এসব তিনি রাজনীতির অঙ্ক কষে আগেই বের করে দিতে পারেন নিজ অভিজ্ঞতা, দক্ষতার গুণে। নিজে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হলেও তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর গুরুত্ব রয়েছে। একাধিক রাজনীতিরকে বৈতরণী পার করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর পরামর্শ মেনে সঠিক পথে চলে একাধিক রাজনীতিক কাঙ্খিত জয় ছিনিয়ে এনেছেন। তিনি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। বাংলার মানুষও তাঁর কথায় ভরসা করে। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লোকসভা ভোটে বাংলায় কেমন ফল করতে পারে বিজেপি তা নিয়ে ভবিষ্য়দ্বাণী করেছেন।নির্বাচন কমিশন দেশের নির্বাচন ঘোষণার আগে প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবার বাংলা থেকে বিজেপি আগেরবারের থেকে ভালো ফল করবে। অন্যদিকে তিনি এও বলেছিলেন বিজেপি কোনওভাবেই সারা দেশে ৩৭০-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারে।
বাংলা নিয়ে কী দাবি করেছেন প্রশান্ত কিশোর?
এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পিকের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় বৃহত্তম দল হতে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় থেকে ৪২টি আসনের মধ্য়ে ১৮টি আসন দখল করেছিল। এবার তাদের টার্গেট ৩৫ আসন দখল করা। পিকের ভবিষ্যদ্বাণী আগেরবারের থেকে এবার লোকসভা ভোটে বিজেপির আসন বাড়বে বাংলায়।
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তেলঙ্গানায় বিজেপি প্রথম না দ্বিতীয় হবে সেটা বড় বিষয় নয়। কিন্তু ওড়িশায় বিজেপি প্রথম হবে। পাশাপাশি বাংলাতেও এক নম্বর দল হবে বিজেপি বলে মন্তব্য প্রশান্ত কিশোরের। তবে সবটাই সম্ভাবনাময় বলে মন্তব্যে করেছেন তিনি। চূড়ান্ত ফল নির্ভর করছে ভোটারদের উপর। সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, 'তামিলনাড়ুতে বিজেপি যদি কোনও আসন না পেয়ে ভোট শতাংশের নিরিখে দুই অঙ্কে পৌঁছে যায় তবে সেটি তাৎপর্যপূর্ণ হবে। তিনি বলেছেন, ওড়িশায় বিজেপি ইতিমধ্য়েই এক নম্বরে রয়েছে। বাংলার জন্য অনেকে বিরোধিতা করলেও পিকের ভবিষ্য়দ্বাণী করছেন, এবার বিজেপি তৃণমূলের থেকে বেশি সম্ভাবনাময়। তিনি বলেছেন, 'বাংলা থেকে বিজেপির পক্ষে আশ্চর্যজনক ফলের জন্য তৈরি থাকুন।'
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃণমূল ভোট পেয়েছিল ৪৩.৩ শতাংশ, দখল করেছিল ২২টি আসন। বিজেপি ৪০.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে দখল করেছিল ১৮টি আসন। আগের নির্বাচনের থেকে ওই নির্বাচনে বিজেপির ভোট ২৩ শতাংশ মতো বেড়েছিল।